কলকাতা, ১১ এপ্রিল: আগামী রবিবার পয়লা বৈশাখ। ১৪৩১ বঙ্গাব্দের শুরু। সেই দিনেই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ২০ জুনকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘোষণা করলেও ঐতিহাসিক কারণে ওই দিনটি নিয়ে আপত্তি তোলে রাজ্য। এর পরিবর্তে পয়লা বৈশাখকে ‘বাংলা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতি বছর সরকারি নিয়মে এই দিনটি বাংলা দিবস হিসেবে পালনের জন্য সরকারি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে সরকারি অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি রাজ্যের নিজস্ব সঙ্গীত হিসেবে রবীন্দ্রনাথের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’গানটি বাধ্যতামূলকভাবে পরিবেশনের কথাও বলা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে। সেই হিসাবে এবছরই প্রথম সরকারিভাবে ‘বাংলা দিবস’ পালনের কথা। সেই দিবস পালনের জন্যই রাজ্য সরকার কমিশনের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছে।
এবারে লোকসভা নির্বাচনের আবহেও ‘বাংলা দিবস’ পালন করতে হবে। আর সেই কারণেই বাংলা দিবস পালনের ক্ষেত্রে কতটা আড়ম্বর থাকবে তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে সংশয় রয়েছে। সরকারিভাবে মূল অনুষ্ঠানটি কলকাতার রবীন্দ্র সদনের সামনে ক্যাথিড্রাল রোডে হওয়ার কথা। অনুষ্ঠানের আয়োজক রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। কিন্তু ভোটের জন্য দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় মুখ্যমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এছাড়া নির্বাচনী আচরণ বিধিতে সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের না থাকার কথা বলা রয়েছে। সেজন্য ‘বাংলা দিবস’ পালনের অনুষ্ঠান করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতিও চেয়েছে নবান্ন।
নবান্ন সূত্রের খবর, এ বছর রবীন্দ্র-নজরুলকে সামনে রেখে বাংলা দিবসে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তবে আড়ম্বর হবে না। জেলাগুলিকে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা দিবস পালন করতে।