কলকাতা, ১৮ আগস্ট : আচমকা ঘটনার পরিবর্তন। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার চাকরি সংক্রান্ত মামলায় অতিরিক্ত হলফনামা গ্রহণযোগ্য নয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই তাঁর মেয়ের স্কুলে চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তিনি টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন, স্কুলেও যান না, বাডি়তে হাজিরার খাতা এসে পৌঁছয়, এমন নানা অভিযোগ সামনে আসে। এসএসসি নিয়ে আগে থেকেই মামলা চলছিল আদালতে। তাতে সুকন্যাকে নিয়ে নতুন হলফনামা জমা পড়ে। অনুব্রতর আরও পাঁচ আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সুকন্যা এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আরও ৫ জনের আদালতে হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিলেন।একই সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত শংসাপত্র পেশ করার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। ফলে অনুব্রত-কন্যার আপাতত স্বস্তি মিলল আদালতে। বলা হয়েছে, তাঁকে এবং অন্যদের আপাতত হাজিরা দিতে হবে না। ১ সেপ্টেম্বর মামলার ফের শুনানির নির্দেশ বিচারপতির।
হাই কোর্ট বৃহস্পতিবার তলব করে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। সেই মতো, বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূমের বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ গাড়ি চেপে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন সুকন্যা।
জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকের যে মূল দু’টি মামলা রয়েছে, তাতেই অতিরিক্ত হলফ নামা জমা পড়ে সুকন্যা এবং ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে। ওই অতিরিক্ত হলফনামা খতিয়ে দেখেছেন বিচারপতি। তাতে তাঁর মনে হয়েছে, পুরনো মামলা এই মুহূর্তে যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে নতুন হলফনামা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সেটি গৃহীত হয়নি। তাই আগের নির্দেশ কার্যকরী থাকে না। তাই সুকন্যা এবং ওই পাঁচজন আদালতে হাজিরা দেওয়া এবং শংসাপত্র পেশ থেকে আপাতত নিস্তার পেলেন।
তবে মামলাকারীদের অন্য সুযোগ দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজন মনে করলে অন্য ভাবে নতুন মামলা দায়ের করে, তাতে নতুন আকারে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু পুরনো মামলার ক্ষেত্রে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আপাতত আদালতে হাজির হওয়া এবং নথি জমা দেওয়া থেকে নিস্তার পেলেন সুকন্যা এবং ওই পাঁচ জন।