দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই ফের চর্চায় সন্দেশখালির ঘটনা। স্টিং অপারেশনের একটি ভিডিয়ো প্রকাশের পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর বেশ কিছু মহিলার বয়ান সামনে এসেছে। ভিডিয়োটিকে পালটা ফেক বলে দাবি বিজেপির। এর মাঝেই সন্দেশখালি নিয়ে বড় দাবি করলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
তবে, সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দুই তরফেই রাজনীতি করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন মীনাক্ষী। বাম নেত্রীর দাবি, তৃণমূল আর বিজেপিকে নিয়ে মানুষ আর অশান্তি চায় না, সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা নিয়েও রাজনীতি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালিরতে মানুষের জমি লুঠ হয়েছে। যারা ধরা পড়েছে তারা বালুর সঙ্গে রেশনের চাল চুরি করেছে। সন্দেশখালিতে মায়েদের সম্মান লুঠ করা হয়েছে।’
সন্দেশখালির ভিডিয়ো তুলে ধরে পুরো ঘটনা বিজেপির পরিকল্পনা বলে দাবি করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর একের পর এক মহিলা সামনে এসে দাবি করছেন, তাঁদের দিয়ে জোর করে মিথ্যা অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যদিও, তাঁদের ভয় দেখিয়ে এসব করা হচ্ছে হলে পালটা দাবি বিজেপির। তবে মীনাক্ষী বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তার মধ্যে কোনটা বিভ্রান্তিমূলক। বরঞ্চ ওঁরা যেটা টিভিতে চালাতে চাইছে, সেটা বিভ্রান্তিমূলক।’
শনিবার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী অলকেশ দাসের সমর্থনে নির্বাচনী ভোট প্রচারের শেষ লগ্নে হাজির ছিলেন বামফ্রন্ট নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শনিবার সকাল থেকেই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী ভোট প্রচার করেন মীনাক্ষী। সঙ্গে ছিলেন প্রার্থী অলকেশ দাস।
এরপর নদিয়ার শান্তিপুর বিধানসভায় অলকেশ দাসকে সঙ্গে নিয়ে রোড শো করেন। শান্তিপুর গোভাগার মোড় থেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের এই রোড শো শুরু হয়। এদিন সিপিএম কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনী ভোট প্রচারের মধ্যে দিয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল ও বিজেপিকে নিয়ে মানুষ আর অশান্তি চায় না, এবার লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমকেই ভরসা করবে মানুষ, কারণ একটা সময় এই সিপিএমই ৩৪ বছর সরকারটা চালিয়েছিল, তখন এ রাজ্যে কখনো দুর্নীতি হয়নি, গণতন্ত্র বজায় ছিল। যদিও রাজ্যপাল সম্পর্কে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।