দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার সকালের শান্ত পরিবেশ হঠাৎই ভেঙে গেল দিল্লিতে। সিভিল লাইনস এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তের সরকারি আবাসে চলছিল সাপ্তাহিক ‘জন শুনানি’। সেই সময়েই ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। উপস্থিত জনতার চোখের সামনেই মুখ্যমন্ত্রীকে হঠাৎ আক্রমণ করে বসেন এক ব্যক্তি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীজুড়ে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু নথি দেওয়ার অনুরোধ করেন। কাগজপত্র হাতে দেওয়ার পরেই আচমকা অতর্কিতে হামলা চালান তিনি। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে চড় মারে অভিযুক্ত। এমনকি চুল ধরে টানাটানিও করে। যদিও প্রথমে খবর ছড়ায় যে হামলাকারী ঢিল ছুড়েছিল, পরে তা ভুল প্রমাণিত হয়। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই ব্যক্তিকে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুসারে এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তের বয়স ৪১ বছর (অন্য এক সূত্রের দাবি ৩৫)। তাঁর সঙ্গে ছিল কিছু নথিপত্র। নিজেকে তিনি রাজেশ ভাই খিমজি ভাই সাকারিয়া বলে পরিচয় দিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি রাজকোটের বাসিন্দা বলেই দাবি। হামলার অব্যবহিত পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে মামলার তদন্ত। এদিকে অভিযুক্তের মা ভানুর দাবি রাজেশ এক কুকুরপ্রেমী। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির পথকুকুর নিয়ে যে রায় দিয়েছে তা নাকি একেবারেই পছন্দ ছিল না তাঁর। তাঁর কথায়, ”রায়টা একেবারেই পছন্দ ছিল না ওর। এরপরই দিল্লির উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ে। তারপরে আমরা আর কিছু জানি না।”
রাজধানীর নিরাপত্তার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে আক্রমণের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বড় প্রশ্ন উঠছে। মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাসে অনুষ্ঠিত সরকারি কর্মসূচি চলাকালীন এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বিভিন্ন মহলে। পুলিশ ইতিমধ্যেই হামলার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তের উদ্দেশ্য ও পটভূমি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিল্লির রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধীরা যেখানে সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, শাসকদল সেখানে দাবি করছে, মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা মোটেই সাধারণ বিষয় নয়। এর পেছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেই তাঁদের আশঙ্কা।