কলকাতা, ২২ আগস্ট : কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে— কল্যাণী এইমসের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নামা সিআইডিকে জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এর ফলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়ল সিআইডি।
গত শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি।এদিকে এই মামলায় এতদিন সিআইডির তরফে শুনানি করা সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে তাঁর বক্তব্য, কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এখানে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছি। এইমসে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগের তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার দাবিতে দায়ের হাওয়া এই মামলা ফের ২৪ আগস্ট শুনানি করবে হাইকোর্ট।
সোমবার এ সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানি চলাকালীন সিআইডিকে সতর্ক করে আদালত বলে, এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন। কেন না, যাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ, তিনি এখন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী।
কেন কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন, তা স্পষ্ট করে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে আদালত জানায়, দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ (এ), ১৯৮৮ মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে কল্যাণী এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে।
উল্লেখ্য, এর আগের শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়েই কল্যাণী এমসের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করছে সিআইডি। তাঁর যুক্তি ছিল, এইমসে বেআইনি কর্মী নিয়োগ মামলায় কয়েক কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রের আইনজীবীর সেই যুক্তি মেনে নিয়েই সোমবার সিআইডিকে সতর্ক করেছে আদালত। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।