West Bengal

2 weeks ago

Rachana Banerjee: ফের নয়া ধোঁয়া রহস্য সামনে আনল রচনা! ভিডিয়ো করে কি জানালেন তিনি?

Again, the new smoke brought the mystery of the essay!
Again, the new smoke brought the mystery of the essay!

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ 'চারিদিকে ধোঁয়াই ধোঁয়া...', রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলির উন্নয়ন নিয়ে এই মন্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু, হাল ছাড়ার পাত্রী নন এই প্রার্থীও। তিনি যে কোনও অতিরঞ্জিত করে মন্তব্য করেননি তা 'প্রমাণ' করলেন হাতেনাতে। একটি রাইস মিলের চিমনি থেকে ধোঁয়া ওড়ার দৃশ্য দেখিয়ে তাঁর স্পষ্ট দাবি, 'এটা সিগারেট বিড়ির ধোঁয়া নয় , এটা মেশিনের ধোঁয়া। আমি যাতায়াতের পথে সব সময় দেখি।'

গত ১৬ মার্চ প্রথম দিন সিঙ্গুরে প্রচারে এসে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি যখন রাস্তা দিয়ে আসছিলেন চারিদিকে ধোঁয়া ধোঁয়া দেখেছেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, বহু কলকারখানা তৈরি হয়ে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। তাই চারিপাশে এত ধোঁয়া। পরে অবশ্য তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে একাধিক মিম তৈরি হয়। এরই জবাব দিতে বৃহস্পতিবার পান্ডুয়া যাবার সময় খন্যানের বোসো এলাকায় রাইস মিলের ধোঁয়া দেখে ভিডিয়ো বানিয়ে ফেলেন তিনি।

এদিন ওই ধোঁয়া বার হওয়ার ভিডিয়োর মাধ্যমে তুলে ধরে রচনা বলেন, 'আমাদের হুগলির ধোঁয়া। যে ধোঁয়া আমি যাতায়াতের সময় দেখি, এটা সেই ধোঁয়া। এটা সিগারেট, বিড়ির ধোঁয়া নয়। এটা মেশিনের ধোঁয়া।'

পরে এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এইবার কী বলবে সবাই! আমি বলেছিলাম রাস্তায় যাওয়ার সময় ধোঁয়া দেখতে পেয়েছি। কী ভুলটা বলেছিলাম? আরও অনেক দেখতে পাবেন। আমাকে আর বলতে হবে না। সবাই যখন বলেছিল কীসের ধোঁয়া? অনেকে বলেছে বিড়ি ধোঁয়া দেখেছে রচনা। আমি কী ভুলটা করলাম! এবার সবাই বুঝতে পারবে। সিঙ্গুরে যে কথাটা বলেছিলাম ঘাস পালা সবুজায়ন। আমরা সকলেই সবুজায়নে বিশ্বাসী। আমরা সব সময় বলে থাকি, একটি গাছ একটি প্রাণ । আমরা সব সময় চাই সবুজায়নের মধ্যে বেঁচে থাকি। সিঙ্গুরে জমির উর্বর জমি। তা নিয়েও আমি বলেছিলাম।'

তিনি আরও বলেন, 'শিল্প তো হচ্ছে। দেখতে পাচ্ছেন না জিন্দাল স্টিল আছে। তিন চার চাকা গাড়ির কারখানা আছে। সেগুলো দেখতে পাচ্ছেন না?যে কোনও মিল বা ফ্যাক্টরি হোক সেটা আছে তো। বিড়ি সিগারেটের ধোঁয়া নয় আমি দেখিয়ে দিয়েছি ফ্যাক্টরি থেকে বেরোচ্ছে। ৪ জুনের পর অনেক ধোঁয়া দেখবেন। অনেক শিল্প হবে। কর্মসংস্থানের প্রয়োজন। তা করা হচ্ছে, হবেও। দিদি থাকলেই পশ্চিমবাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠবে।'

এদিকে রচনার মন্তব্য প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'তিনি যা বলছেন বলুক। আমি আমার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ জানে বুলডোজার দিয়ে টাটাকে সিঙ্গুর থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে আমি কিছু বলব না। তিনি নিজের প্রচার করছেন করুন।'

You might also like!