Travel

2 months ago

Offbeat Darjeeling: মনোরম পরিবেশে ঘুরে আসতে পারেন উত্তরের সুন্দরী গ্রাম!

You can visit the beautiful northern village in a pleasant environment!
You can visit the beautiful northern village in a pleasant environment!

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ধাপে ধাপে শেষ হবে। এরপর ক্লাসের পরীক্ষাও শেষ হবে। তারপরই পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার একটা হিড়িক থাকে। কিন্তু মূল দার্জিলিং শহর তো ভিড়ে ঠাসা। একটু নিরিবিলিতে যেতে মন চায়। আর সেই নিরিবিলি মানে অফবিট দার্জিলিং। আপনি যদি স্বপ্নের দার্জিলিংকে দেখতে চান তবে অবশ্যই যেতে পারেন পালমাজুয়া( Palmajua)।

পাহাড়ের কোলে যেন লুকিয়ে থাকা স্বর্গ। পাহাড় সুন্দরী , কিন্তু তা যে এত সুন্দরী তা পালমাজুয়া না দেখলে বোঝা যাবে না। সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের কাছেই এই পালমাজুয়া।

যাঁরা পাখি আর প্রকৃতি দুটোই যদি ভালোবাসেন তবে এই জায়গার আর বিকল্প হয় না। হিমালয়ের একেবারে বিরল সব পাখির দেখা মিলবে এখানে। ভোর ভোর উঠে পড়ুন। দেখবেন আপনার বারান্দার সামনের যে গাছটা আছে সেখানেই বসে রয়েছে তারা। অপূর্ব তার রূপ।

জায়গাটি ধোত্রে আর শ্রীখোলার মাঝামাঝি পড়ে। অধিকাংশ পর্যটক ধোত্রে আর শ্রীখোলা যেতেই অভ্য়স্ত। তবে যারা সান্দাকফু ও ফালুটে যান তাঁরা অনেকসময় এই শ্রীখালো আর ধোত্রেতে থাকেন। জায়গাটিতে যাবেন কীভাবে?

এনজেপি থেকে শিলিগুড়ি-মিরিক-পশুপতি, সীমানা- সুখিয়া- মানেত্রঞ্জন-ধোত্রে-পালমাজুয়া-রিম্বিক- শ্রীখোলা এভাবেও ঘুরে আসতে পারেন। একটু কম টাকায় যেতে হলে আপনি দার্জিলিং মোড় বা তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে দার্জিিংগামী গাড়িতে চড়ে ঘুমে নেমে পডুন। সেখান থেকে আবার শেয়ার কারে সুখিয়া বা মানেভঞ্জন যান। সেখান থেকে আবার শেয়ার গাড়িতে রিম্বিক বা শ্রীখোলার দিকে যেতে গিয়ে মাঝে পালমাজুয়াতে নেমে পড়ুন। বেশি লাগেজ নেবেন না। পাহাড়ি পথে যেতে কষ্ট হবে। হোমস্টের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করে রাখতে পারেন। তবে তাঁদের বললে সরাসরি এনজেপি থেকে গাড়ির ব্যবস্থাও করে দিতে পারেন। কিন্তু তাতে টাকা বেশি লাগবে। হোটেল-হোমস্টে আছে। সেখানে আগে থেকে বুক করে নিতে পারেন।

একেবারে আনকোড়া একটা জায়গা। হাতে গোনা কয়েকটি হোমস্টে আছে। অনেকেই এই জায়গার নাম জানেন। ৫৮০০ ফুট উচ্চতায় এই জায়গায়। কাছেই কমলালেবুর বাগান। পালমাজুয়া ভিউ পয়েন্ট থেকে কাঞ্জনজঙ্ঘা দেখুন। পালমাজুয়া ভিউ পয়েন্ট থেকে পশ্চিম সিকিমের দারামদিন দেখতে পারবেন। এখান থেকে শ্রীখোলা চলে যান। সেখানে নদীর ধারে বসে থাকুন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কীভাবে যে কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না।

ভাগ্য ভালো থাকলে বাঁশবনে দেখা পাবেন রেড পান্ডাদের। ওদের বিরক্ত করবেন না। নিরিবিলিতে কাটিয়ে দিন। যে স্মৃতি নিয়ে ফিরবেন তা মনে থাকবে অনেকদিন।

You might also like!