দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্রমণ মানুষের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিক ভাবে জড়িত অনন্য সুন্দর এক অনুভুতি। আর আমরা কমবেশি সকলেই ভ্রমণপিপাসু মানুষ। তাই কর্ম জীবনে ছুটি কিংবা সন্তানদের গ্রীষ্মের মরশুমে গরমের ছুটি সব ক্ষেত্রই মন কিন্তু চায় ভ্রমণের স্বাদ নিতে। তাই গরমের থেকে মুক্তি পেতে আমরা বেড়িয়ে পড়ি নিত্যনতুন জায়গায় ঘোরার উদ্দেশ্যে। তবে বিমান বা ট্রেন ভ্রমণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলেও রোড ট্রিপ কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা বহন করে।
ভারতের এমন নানান চমৎকার পথ রয়েছে যেখান দিয়ে গেলে প্রকৃতির সৌন্দর্য আপনাকে অভিভূত করবে। ব্যাস্ততম জীবনে অনুভব করবেন প্রবল মানসিক শান্তি। তবে রোড ট্রিপের কথা শুনলে মানুষের মনে আসে লাদাখের কথা। কিন্তু এখানে এমন অনেক পথ পাবেন যেখানে গেলে আপনার মন ভরে যাবে। এই মহাসড়কগুলি স্বর্গের চেয়ে কম কিছু নয়। চলুন জেনে নিই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার নাম, যা রোড ট্রিপের জন্য আদর্শ।
১। মুম্বই থেকে গোয়া: আপনি যদি উপকূলীয় রাস্তায় গাড়ি বা বাইকে ভ্রমণ উপভোগ করতে চান, তাহলে মুম্বই থেকে গোয়া পর্যন্ত একটি রোড ট্রিপ আপনার জন্য উপযুক্ত হবে। সবুজ বন এবং ছোট ছোট গ্রামগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় আপনি সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাবেন। এছাড়াও কোঙ্কনের সৌন্দর্য এই ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তুলবে।
২। মানালি থেকে লেহ: এটি ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং দুঃসাহসিক রোড ট্রিপগুলির মধ্যে একটি। এখানে আপনি লম্বা পাহাড়, তুষারাবৃত রাস্তা এবং নীল আকাশ দেখতে পাবেন৷ সবকিছুই সিনেমার মতো মনে হবে। তবে শীতকালে এই রাস্তাটি বন্ধ থাকে। আপনি কেবল গ্রীষ্মকালে (মে থেকে সেপ্টেম্বর) ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন। এই সময়ে, আপনি রোহতাং পাস, বড়লাচা লা এবং খারদুং লা-এর মতো শীর্ষ স্থানগুলির মনোরম দৃশ্য দেখতে পাবেন।
৩। গ্যাংটক থেকে নাথুলা পাস: পূর্ব ভারতের সৌন্দর্য দেখার মতো। সিকিমের এই রোড ট্রিপটি খুবই চমৎকার। গ্যাংটক থেকে নাথুলা পাস যাওয়ার পথটি পাহাড়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। আপনি চাইলে পথে চাঙ্গু লেক ঘুরে দেখতে পারেন। বাবা হরভজন মন্দির পরিদর্শন করতে ভুলবেন না। শীতকালে এই পথটি তুষারে ঢাকা থাকে এবং দেখতে অত্যন্ত সুন্দর লাগে।
৪। বেঙ্গালুরু থেকে উটি: যদি আপনি পাহাড়ি রাস্তায় সবুজের সমারোহ এবং ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে চান, তাহলে বেঙ্গালুরু থেকে উটি পর্যন্ত রোড ট্রিপে যান। এই পথে, আপনি বিভিন্ন ধরণের স্বাদের স্বাদ গ্রহণের পাশাপাশি সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। এখানে পৌঁছনোর যাত্রা গন্তব্যের চেয়েও সুন্দর এবং স্মরণীয়। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এই 270 কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রা স্বর্গের চেয়ে কম নয়।