দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- উত্তর বঙ্গে বেড়ানোর জায়গার অভাব নেই। শুধু একটু খুঁজে নিতে হয়। খুঁজে পাবেন কিছু অফবিট জায়গা। এমনই একটা অফবিট জায়গা ঝাণ্ডি। নিরিবিলি চুপচাপ একটা জায়গা। ঝাণ্ডি দেখলে আপাত ভাবে তেমন কিছু মনে হবে না। কিন্তু মেঘ সরতেই এর আসল সৌন্দর্য বেরিয়ে আসে। কালিম্পংয়ের কাছেই ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম ঝাণ্ডি।
গুটি কয়েক বাড়ি। তার প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছে হোমস্টে। ঝাঁণ্ডির সঙ্গে অন্য আর পাঁচটা পাহাড়ি গ্রামের ফারাক করে দেয় কাঞ্জনজঙ্ঘা আর নেওড়াভ্যালির সুবিশাল রেঞ্জ। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ডুয়ার্স এবং তরাই একসঙ্গে দেখা যায়। পাহাড় এবং সমতলের একসঙ্গে একটা ভিউ পাওয়া যায় এই ঝাণ্ডি থেকে।
একসঙ্গে ঝাণ্ডির সৌন্দর্য দিনে এবং রাতে ২ রকম। দিনের বেলায় যেমন কাঞ্জনজঙ্ঘার সুবিশাল রেঞ্জ আর নেওড়াভ্যালির একটা রোমাঞ্চকর ভিউ পাওয়া যায়। তেমনই তরাই এবং ডুয়ার্সের একটা ভিউ এখানে পাওয়া যায়।
হোমস্টের ঘরে বসেই দেখা যায় সেই রোমাঞ্চকর ভিউ। আবার প্রয়োজনে যেতে পারেন ভিউ পয়েন্টে। সেখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের ভিউ পাওয়া যায়। ঝাণ্ডি থেকে সানসেটও অসাধারণ। ভিউ পয়েন্ট থেকে দেখা যায়। সূর্যাস্তের পরে ঝুপ করে সন্ধে নেমে যায় এখানে। তারপরে ঝাণ্ডি যেন আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। ঝাণ্ডি থেকে জলপাইডুড়ি আর ডুয়ার্সের আলো ঝলমলে রূপ দেখা যায়। রাতের অন্ধকারে ঝাণ্ডি যেন আরও মোহময়ী হয়ে ওঠে। ঝাণ্ডি যেতে হলে আগে কালিম্পংয়ে আসতে হবে। সেখান থেকে গাড়িতে আসতে হবে। ঝাণ্ডিতে একটু আগে থেকে বুকিং করিয়ে নেওয়া ভাল।