দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রীষ্মকাল মানেই ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা, জীবনের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলার উপযুক্ত সময়। পাহাড় হোক কিংবা সমুদ্র—প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে যে শান্তি মেলে, তা শহুরে ব্যস্ত জীবনে দুষ্প্রাপ্য। আর প্রকৃতির মধ্যে সবচেয়ে মন ছুঁয়ে যাওয়া মুহূর্ত যদি কিছু থাকে, তবে তা নিঃসন্দেহে সূর্যাস্ত। দিনের শেষে যখন ধীরে ধীরে সূর্য দিগন্তের দিকে হারিয়ে যায়, সেই দৃশ্যের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানেই এক অনন্য অনুভব। কেবল ভ্রমণ নয়, অনেকেই সূর্যাস্তকে মানসিক প্রশান্তির মাধ্যম হিসেবেও দেখে থাকেন। আপনি যদি এমন কোনও জায়গার খোঁজে থাকেন, যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায় মন ভরে, তাহলে রইল ভারতের কয়েকটি চমৎকার সানসেট পয়েন্টের তালিকা:
১। কচ্ছের রণ, গুজরাত: সাদা বালুকাময় মাঠ এবং দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে থাকা শূন্যতার এই দৃশ্য কচ্ছের রণকে বিশেষ করে তোলে। সূর্যাস্তের সময় এখানকার সাদা মাটিতে সোনালী আলো পড়ে স্বর্গের অনুভূতি দেয়। পরিষ্কার আবহাওয়ায় এখানে সূর্যাস্তের দৃশ্য খুব সুন্দর দেখায়।
২। মাউন্ট আবু, রাজস্থান: রাজস্থানের একমাত্র পাহাড়ি শহর মাউন্ট আবু তার সানসেট পয়েন্টের জন্য বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। আরাবল্লী পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত এই স্থানটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সন্ধ্যায় এখান থেকে পাহাড়ের আড়ালে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখা খুবই সুন্দর।
৩। কন্যাকুমারী, তামিলনাড়ু: তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী ভারতের শেষ প্রান্তে অবস্থিত। এখানে ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এখান থেকে একই সঙ্গে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উভয়ই দেখা যায়৷ যা এটিকে আরও বিশেষ করে তোলে। আপনি যে ঋতুতেই এখানে আসুন না
কেন, এই সুন্দর দৃশ্য দেখা স্বর্গের চেয়ে কম হবে না।
৪। গঙ্গা ঘাট, বেনারস: বেনারস শহরটি একটি আধ্যাত্মিক শহর হিসেবে পরিচিত। এখানকার ঘাট থেকে গঙ্গা নদীর মাঝখানে সূর্যের উদয় এবং অস্ত যাওয়া দেখা যায়। এটি একটি অসাধারণ দৃশ্য।
৫। ভ্যাগেটর বিচ, গোয়া: গোয়ার সমুদ্র সৈকতগুলিকে রোমান্টিক এবং সুন্দর বলে মনে করা হয় ৷ তবে ভ্যাগেটর সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যাস্ত দেখা খুবই বিশেষ। এখানকার পাথর এবং নারকেল গাছের মাঝখানে অস্তগামী সূর্যটা যেন সিনেমার দৃশ্য।
৬। সানসেট পয়েন্ট, পুষ্কর, রাজস্থান: পুষ্কর হ্রদের তীরে অবস্থিত সানসেট পয়েন্ট থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য আপনাকে প্রশান্তির অনুভূতি দেয়। হ্রদের উপর সূর্যের প্রতিফলন এবং মন্দিরের ঘণ্টার শব্দ অভিজ্ঞতাকে আধ্যাত্মিক করে তোলে।