লখনউ, ১৪ মে (হি.স.): বিকশিত ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করাই লক্ষ্য, জোর দিয়ে বললেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাকিস্তান তথা সন্ত্রাসবাদীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, যদি আমাদের কেউ বিরক্ত করে, আমরা তাদের রেহাই দেব না। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বুধবার সকালে লখনউতে 'ভারত শৌর্য তিরঙ্গা যাত্রায়' অংশ নেন। জাতীয় পতাকা নিয়ে তিরঙ্গা যাত্রায় অংশ নেন বহু মানুষ। সবার মুখে ধ্বনিত হয় 'ভারত মাতা কি জয়'।
যোগী আদিত্যনাথ এদিন বলেছেন, "সমগ্র দেশ সেনাবাহিনীর বীরত্ব ও সাহসকে কুর্নিশ জানাচ্ছে। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের জন্য সমগ্র রাজ্যের পক্ষ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানাই। পহেলগামে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের বর্বর কাজের নিন্দা করেছে গোটা বিশ্ব। সেনাবাহিনী পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে এবং গোটা বিশ্বকে বার্তা দিয়েছে, আমরা কাউকে কষ্ট দেব না, কিন্তু যদি কেউ আমাদের কষ্ট দেয়, আমরা তাদের রেহাই দেব না। সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য উত্তর প্রদেশে তিরঙ্গা যাত্রা শুরু হয়েছে।"
যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেছেন, "আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত 'বিকশিত ভারত'-এর দৃষ্টিভঙ্গি পূরণের জন্য 'দেশ সর্বোপরি"-র চেতনা নিয়ে কাজ করা। যখন ১৪০ কোটি ভারতীয় 'দেশ সর্বোপরি'-র চেতনা নিয়ে কাজ করেন, তখন কোনও শক্তিই ভারতের বিরোধিতা করতে পারে না। এখন আমরা সেই সংকল্পের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য এই 'তিরঙ্গা যাত্রা'-তে অংশগ্রহণ করছি। বিশ্ব পাকিস্তানের এই লজ্জাজনক কাজ দেখেছে, যেখানে পাকিস্তানের সেনা আধিকারিক এবং শীর্ষ নেতারা সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন। এই বিষয়গুলি দেখায় যে পাকিস্তান একটি ব্যর্থ জাতি। গত ৭০-৭৫ বছরে, পাকিস্তান কেবল সন্ত্রাসবাদের বীজ বপন করেছে।" যোগী দাবি করেছেন, "একদিন সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানকেও গ্রাস করবে। পাকিস্তান সম্পূর্ণ শূন্য হয়ে গেছে। অপারেশন সিঁদুর ছিল পাকিস্তানের অপকর্মের জবাব। "যারা ভারতের দিকে আঙুল তুলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে তাদের এমন পরিস্থিতিতে ফেলা হবে যেখানে কেউ তাদের শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারবে না