দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল তাপ প্রবাহে মানুষের স্বস্তির একমাত্র ভরসা পাহাড়। তাই গরমে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে ছুটছে পাহাড়ে। কিন্তু দার্জিলিংয়ে ব্যাপক ভিড়। তাই যারা একটু নতুন অফবিট জায়গার সন্ধান করছেন,তাদের জন্য আজকের ডেস্টিনেশন হোক 'রোহিনী' গ্রাম। শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং যাওয়ার পথে পড়ে এই গ্রাম। জায়গাটির নাম রোহিণী। সেখানে রয়েছে বেশ বড় একখানা লেক। এতদিন বোটিং করতে অনেকেই যেতেন মিরিক লেকে। কিন্তু এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল রোহিণী। ছোট্ট গ্রামের পাশেই অবস্থান এই সুন্দর লেকটির।
রোহিনী গ্রামের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এর নির্জনতা। খুব বেশি পর্যটকদের ভীড় এই হ্রদে লক্ষ্য করা যায়না। কিন্তু বোটিং শুরু করার পর থেকে তার লোভে অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন সেখানে। লেকটিকে সংস্কার করার পর থেকে অনেকেই নিজের ভ্রমণ গন্তব্যের তালিকায় রাখছেন এই স্থানকে। আবার কার্শিয়াং থেকে রোহিণী পর্যন্ত রোপওয়ে পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। অচিরেই চালু হবে এই রোপওয়ে। রোহিণী কিন্তু আগামী দিনে পর্যটকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে চলেছে। কারণ একদিকে পাহাড়ের ঢাল বরাবর চা বাগান, আর অন্যদিকে রোহিণী লেক শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র ২১ কিমি দূরে হওয়ায় দার্জিলিং যাওয়ার আগেও এখানে একবার ঘুরে যেতে পারেন। মূলত হ্রদকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠেছে পুরো এলাকা।
* যাওয়া - শিলিগুড়ি থেকে একটা গাড়ি ভাড়া করলেই ৪০/৪৫ মিনিটে পৌঁছে যাবেন রোহিনী।
* থাকা - শিলিগুড়িতে থেকে ঘুরে আসতে পারেন রোহিনী। তবে একদম নতুন দু'তিনটি হোটেল হয়েছে।আছে গোটা ২ হোমস্টে। তাই কোনো অসুবিধা হবে না।