দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :মধু চন্দ্রিমা হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় ভ্রমণ—গোয়া প্রায় সবার পছন্দের তালিকায় থাকে। ব্যস্ত জীবনের মাঝখানে যখন কিছুটা ফুরসত পাওয়া যায়, তখন বলিউডের তারকারাও গোয়ায় ছুটি কাটাতে ছুটে আসেন। আরব সাগরের নীলিমা, পশ্চিমঘাটের পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের পাশাপাশি এই রাজ্যের নিজস্ব সংস্কৃতি ও সুস্বাদু খাবারের আকর্ষণও কম নয়।
কেউ এখানে যান নিছক অলস ভাবে সমুদ্র সৈকতে কয়েকটি কাটাতে। কেউ যান এই রাজ্য এবং শহরকে অন্য ভাবে আবিষ্কার করতে, গোয়ার সংস্কৃতির টানে। কেউ চান প্রিয় মানুষটির সঙ্গে প্রকৃতি উপভোগ করতে। উদ্দেশ্য যার যেমনই হোক না কেন, গোয়া কাউকেউ নিরাশ করে না। ইতিহাস, ফুটবল, গোয়ার নিজস্ব মদ— সব কিছু নিয়েই এই রাজ্য।
তবে চেনা ছকের বাইরে, ভিড় এড়িয়ে একটু অন্য ভাবে যদি সৈকতগুলিকে আবিষ্কার করতে চান, তা হলে তালিকায় রাখতে পারেন অশ্বেম, বেতালবাতিম, কাকোলেমের মতো সৈকত।
অশ্বেম সৈকত: উত্তর এবং দক্ষিণ গোয়ায় অজস্র সৈকত রয়েছে। তার মধ্যে অনেকগুলি বেশ জনপ্রিয়। তবে অনেকেই চেনা ছকের বাইরে হাঁটতে চান। বিশেষত যাঁরা বার বার গোয়া যান, তাঁরা খোঁজেন নতুন ঠিকানা। আপনিও সেই দলেই থাকলে পানাজির কাছে অশ্বেম সৈকতে চলে যেতে পারেন। কাচের মতো স্বচ্ছ জল সাগরের। পরিচ্ছন্ন সৈকতকে যেন বেড় দিয়ে রেখেছে হেলানো নারকেল গাছ। লালছে বড় বড় পাথর রয়েছে এখানে-সেখানে। যেখানে দাঁড়িয়ে দারুণ ছবি তোলা যায়। নির্জন সৈকতে কিন্তু ওয়াটার স্পোর্টসের রোমাঞ্চ উপভোগ করা যায়।
পানাজি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে উত্তর গোয়ার সৈকতটি ছবির মতোই সুন্দর। গোয়ার আর এক জনপ্রিয় সৈকত কালাঙ্গুটে থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি গোয়া ঘোরার আদর্শ সময়। তবে বর্ষাতেও এই সৈকতটি দারুণ সুন্দর উপভোগ্য।
বেতালবতিম সৈকত: ভিড়ভাট্টা, কোলাহল থেকে অনেক দূরে বিশেষ মানুষটির সঙ্গে প্রকৃতি উপভোগ করতে চাইলে বেতালবতিম হতে পারে স্বপ্নের ঠিকানা। সৈকতের একপাশ ঘন সবুজ। পাহাড় নেই, তবে গাছগাছালি যথেষ্ট। এখান থেকে সূর্যাস্তে দৃশ্য দারুণ দেখায়।দক্ষিণ গোয়ার জনপ্রিয় সৈকত কোলবা।সেই জায়গা ঘুরেও ঢুঁ মারতে পারেন বেতালবতিমে। কোলভা এবং মাজোরদা সৈকতের মধ্যবর্তী স্থানে এটি রয়েছে। পানাজি থেকে সৈকতটির দূরত্ব ৩২ কিলোমিটারের মতো। গোয়ার অন্যতম পরিচ্ছন্ন সৈকতের তালিকায় পড়ে বেতালবতিম।
কাকোলেম: দক্ষিণ গোয়ার আর এক দ্রষ্টব্য হতে পারে কাকোলেম। পাহাড়-সাগর মিলেছে এখানে। পাহাড়ি গাছগাছালি ভরা হাঁটা পথ দিয়ে সেখানে পৌঁছলে স্বর্গীয় রূপ চোখে পড়বে।এই সৈকতটি ‘টাইগার বিচ’ নামেও পরিচিত। নারকেল গাছের সারি এখানকার সৌন্দর্য বাড়িয়েছে।কাকোলেমের অদূরে রয়েছে দু’টি ছোট ছোট ঝর্না।পাহাড়ের উপর থেকে সমুদ্রের সৌন্দর্য দারুণ লাগে।