Travel

7 hours ago

Jabalpur: এই শহরে গেলেই মন ভালো! জলের ধোঁয়া আর চাঁদের আলোয় মোড়া—জানুন কোন শহরকে বলা হয় পৃথিবীর 'স্বর্গ'

Jabalpur in Madhya Pradesh
Jabalpur in Madhya Pradesh

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: দু'পাশে মার্বেল পাথরের খাড়া দেওয়াল বেষ্টিত। এর মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে নর্মদা। সেই স্থানেই করিনা কাপুর তাঁর সৌন্দর্যের মাধ্যমে শাহরুখের মনে ভালোবাসার উন্মাদনা সৃষ্টি করছেন। আমরা আলোচনা করছি ‘অশোক’ ছবির ‘রাত কা নাশা আভি…’ গানের শুটিং লোকেশন নিয়ে। সেই স্বপ্নিল সুন্দর জায়গাটি হলো মধ্যপ্রদেশের জবলপুর।

মধ্য ভারতের এক শান্ত, অথচ বিস্ময়ে ভরা শহর। নর্মদা নদীকে ঘিরে গড়ে ওঠা এই শহরে আছে জল, পাথর, ইতিহাস আর এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ। তাই এই শীতের ছুটিতে টুক করে ঘুরে আসতে পারেন জবলপুর। কেন যাবেন? রইল চার চারটি কারণ… কেউ বলেন জবলপুর, কেউ বলেন জব্বলপুর। আরবি শব্দ জবল কথার অর্থ পাথর। কথিত, ঋষি জাবালি এই শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নর্মদার তীরে বসে তপস্যা করেছিলেন। সেই থেকেই এখানকার নাম হয় জবলপুর ।

হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করেই যাওয়া যায় জবলপুর । জবলপুর বড় শহর, তাই যেতে বা থাকার হোটেল পেতে কোনও সমস্যা হবে না। ট্রেন পথ, আকাশপথ বা সড়ক পথ, যে ভাবে খুশি যেতে পারেন।

কী কী দেখবেন?

মার্বেল রক:

জবলপুরের অন্যতম এবং প্রধান আকর্ষণ মার্বেল রক। সোজা চলে যান ভেদাঘাট। দূর থেকে চোখে পড়বে উঁচু নীচু, সাদা মার্বেল পাথরের দেওয়াল। তার উপর রোদ পড়ে যেন মায়া তৈরি করছে। এখানে গিয়ে নৌকা ভ্রমণ মিস করলে কিন্তু চলবে না। ৮ কিলোমিটার বিস্তৃত গিরিখাত। কোথাও মার্বেলের রং দুধ সাদা। কোথাও আবার গোলাপি। কোথাও রয়েছে হলুদের ছোঁয়া। মার্বেল পাথরের সেই খাতের মধ্যে দিয়ে নিঃশব্দে বয়ে চলেছে নর্মদা নদী। অসংখ্য হিন্দি সিনেমার শুটিং হয়েছে এখানেই। তবে মার্বেল রকের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে গেলে এখানে দু’বার যেতে হবে। একবার সকালে। আরেকবার পূর্ণিমার রাতে। দুধ সাদা পাথরের গা চুঁইয়ে চাঁদের আলো গিয়ে পড়ে নর্মদার জলে। সে রূপ না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।

ধুঁয়াধার জলপ্রপাত: 

জবলপুরের সৌন্দর্যের আরেক নাম ধুঁয়াধার জলপ্রপাত। ৩০ মিটার উঁচু থেকে প্রবল বেগে মাটিতে আছড়ে পড়ার সময় চারপাশ ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায়। তাই এই জলপ্রপাতের নাম ধুঁয়াধার। দেখলে মনে হয় যেন সাদা মেঘের চাদর ঢেকে রেখেছে জায়গাটিকে। বার্ড আই ভিউ থেকে এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য রয়েছে রোপওয়ে।

দুর্গ:

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, রয়েছে ইতিহাসের হাতছানিও। ঘুরে দেখে নিন মদন মহল। কেউ বলেন মদানমহল কেল্লা। পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে এখনও যেন রানি দূর্গাবতীর সাহসের গল্প বলে এই দুর্গ। জঙ্গলঘেরা পথ দিয়ে চড়াই ভেঙে উঠলে দেখা মিলবে দুর্গের। ওপরে উঠতেই নীচে পুরো শহরটা ক্যানভাসের মতো মনে হয়।

চৌষট্টি যোগিনী মন্দির:

জবলপুরের আরেক দর্শনীয় স্থান এই মন্দির। অর্ধবৃত্তাকার স্থাপত্য, পাথরের সূক্ষ্ম কারুকার্য। এই মন্দিরের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে উঠতে মনে হবে পিছিয়ে গিয়েছেন ২০০ বছর। হয়ে গেলে কেনাকাটা করতে পারেন স্থানীয় মার্কেটে। সন্ধের দিকে বেরিয়ে এক্সপ্লোর করতে পারেন সেখানকার কালচার, খাওয়াদাওয়া সবই।

জবলপুর যাওয়ার সেরা সময় সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস। এই সময় ওয়েদার খুব মনোরম থাকে। ভালোভাবে ঘুরে দেখতে হাতে ২–৩ দিন বরাদ্দ রাখুন। এক্সপ্লোর করুন শহরটিকে।

You might also like!