দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্লাস টেনে কমছে ড্রপআউটের সংখ্যা। কিন্তু তারপরেও খামতি সোমবার লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই নিয়ে প্রশ্ন করেন ডিএমকে সাংসদ কালানিধি বীরাস্বামী (DMK MP Kalanidhi Veeraswamy)। সারা দেশে কমবেশি ৩৫ লাখ পড়ুয়া ক্লাস টেনেই পড়াশোনা শেষ করে দিয়েছে। এই ব্যাপারে কেন্দ্রের ব্যাখ্যা চান ডিএমকে সাংসদ। তাঁর উত্তরে এই দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (dharmendra pradhan) বিস্তারিত পরিসংখ্যান পেশ করেন সংসদে। তাঁর কথায়, ড্রপআউটের হার কোভিডের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। ২০২১-২২ সালে ২০.৬ শতাংশ ছিল ড্রপআউটের হার। যা ২০১৮-১৯ সালে ছিল ২৮.৪ শতাংশ।
উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরাসহ বেশ কিছু রাজ্যে ড্রপআউটের হার জাতীয় গড়ের থেকে অনেকটাই কম। যেমন উত্তরপ্রদেশে ৯.২ শতাংশ, ত্রিপুরায় ৩.৮ শতাংশ, তামিলনাডুতে ৯ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৯.৮ শতাংশ, হিমাচলপ্রদেশে ২.৫ শতাংশ, হরিয়ানায় ৭.৪ শতাংশ, দিল্লিতে ১.৩ শতাংশ। এছাড়াও, মণিপুরে ড্রপআউটের হার শূন্য।
ওড়িশার হাল সবচেয়ে খারাপ। সেখানে গত শিক্ষাবর্ষে ড্রপআউট পড়ুয়াদের হার ৪৯.৯ শতাংশ (dropout rate in India)। অন্যদিকে, বিহারে সেই হার ৪২.১ শতাংশ। দেশের জাতীয় গড়ে তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। এই দিন ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ড্রপআউটের হার মেঘালয়ে ৩৩.৫ শতাংশ, কর্ণাটকে ২৮.৫ শতাংশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও অসমে ২৮.৩ শতাংশ, তেলেঙ্গানায় ২৭.৪ শতাংশ। তবে গত চার বছরে বেশ উন্নতি হয়েছে অসমের। ৪৪ শতাংশ থেকে বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে ড্রপআউটের হার ২৮.৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে একই সময়ে ওড়িশার ড্রপআউটের হার ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
২০২২ সালে ক্লাস টেনের পরীক্ষা দিয়েছিল ১,৮৯,৯০,৮০৯। এর মধ্যে ২৯,৫৬,১৩৮ পড়ুয়া ফেল করেছে পরীক্ষায়। এর কারণ হিসেবে বেশ কিছু দিক তুলে ধরেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর কথায়, স্কুলে না যাওয়া, নিয়মিত ক্লাস না করা, শিক্ষকদের কথা না শোনা, কঠিন প্রশ্নপত্র, ভালো শিক্ষকের অভাব, বাবা-মায়ের থেকে যথাযথ সমর্থন না পাওয়া ইত্যাদিই মূল কারণ। তবে এছাড়াও, রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ দায়িত্বে থাকাকে একটি কারণ হিসেবে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে এর পরেও কোভিডের আগে ২০১৮ সালে ৩৯ লাখ ও ২০২১ সালে ৪৫.৯ লাখ ছিল ড্রপআউটের হার। সেই তুলনায় বর্তমানে ২৯.৫ লাখকে অবস্থার উন্নতি বলে দাবি করেন তিনি।