দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভোটের পর আঙুলে লাগানো এই কালি রীতিমতো রহস্যজনক। কারণ আপনার আঙুলে লাগানো হয় কালো রঙের কালি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা রং পরিবর্তন করে হয়ে যায় নীল। তারপর আবার সাবান, তেল যাই দিয়ে ঘষুন না কেন ওই কালি আর সহজে ওঠে না।
৮ জুলাই হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩। রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ ভোটের লাইনে দাঁড়ান। জেলায় জেলায় অশান্তি, প্রাণনাশের ঘটনা এবারও এড়ানো যায়নি বাংলার ভোটে। অব্যাহত শাসক-বিরোধা তরজাও।
তারপরও গণতন্ত্রের উৎসব বলে কথা। তবে ভোট, অশান্তি রাজনৈতি তরজা, জয়ী দল, পরাজিত দল, এই সব কিছু নয়, এই প্রতিবেদন ভোটের কালি নিয়ে। এই ভোটের কালি আজও অনেকের কাছেই রহস্য হয়ে থেকে গিয়েছে।
ভোটের পর আঙুলে লাগানো এই কালি রীতিমতো রহস্যজনক। কারণ আপনার আঙুলে লাগানো হয় কালো রঙের কালি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা রং পরিবর্তন করে হয়ে যায় নীল। তারপর আবার সাবান, তেল যাই দিয়ে ঘষুন না কেন ওই কালি আর সহজে ওঠে না।প্রায় দিন দশ থেকে যায়। এরপর ধীরে ধীরে আপনা আপনিই চলে যায়। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে ভোটের এই রহস্যময় কালি কী দিয়ে তৈরি হয়, কেন তা একবার লাগালে সহজে ওঠে না? এই সকল প্রশ্নের উত্তরও মিলবে এই প্রতিবেদনে।
গোপনভাবে বানানো হয় এই ভোটের কালি। শুধু এইটুকু জানা গিয়েছে যে এই কালিতে সিলভার নাইট্রেট থাকে। যা আঙ্গুলে লাগানোর পরই চামড়ার তলার নুনের সংস্পর্শে এসে স্থায়ী হয়ে বসে যায়। রোদের আলো পড়লে তা আরও চেপে বসে।
ওই কালির মধ্যে অ্যালকোহল মেশানো থাকে। তার ফলে অল্প সময়েই শুকিয়ে যায়। তবে মূল রহস্য আছে সিলভার নাইট্রেট-এর মধ্যেই। তবে এছাড়াও আরও নানান ধরনের গোপন রাসায়নিক ও উপকরণ এই কালির মধ্যে থাকে। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
তবে ভোটের কালিকে ফাঁকি দেওয়ারও কিছু উপায় বেরিয়েছে বলে বাজারে শোনা যায়। তবে সেগুলি আজও প্রমাণিত সত্য নয়। আর বাইরের যে কোনও ক্যামিকেল দিয়ে ভোটের কালি পুরো ওঠে কিনা তা নিয়ে একটা প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যায়।
তবে গোপনীয়তার কারণে সঠিক কি কি দিয়ে এই কালি তৈরি হয়, বা এর ফর্মুলা কী তা কোনও দিন প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কালিতে সিলভার নাইট্রেট ও অ্যালকোহল থাকলেও আর কি থাকেও তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। শুধু ভারত নয় বিশ্বের আরও ২৫ টি দেশের নির্বাচন উপলক্ষে কালি ব্যবহার করা হয়।