দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ৫৫-র কোঠায় পৌঁছেও এখনও টনটনে ফিট অভিনেতা মাধবন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেমন তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বাড়ছে, তেমনই ফিটনেসের দিকেও নজর রাখছেন তিনি। বাবার এই ফিটনেস-পথেই হাঁটছেন পুত্র বেদান্তও। পেশাদার সাঁতারু বেদান্তের প্রতিদিনের রুটিন কেমন, তা নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ছবির জনপ্রিয় নায়ক মাধবন। ছেলের রুটিন ও ফিটনেস সংক্রান্ত নানা অজানা তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন অনুরাগীদের সঙ্গে।
মাধবন জানিয়েছেন, বেদান্ত প্রতি দিন ভোর ৪টের সময় ঘুম থেকে ওঠেন। তার দিন শেষ হয় রাত ৮টায়। এক জন ক্রীড়াবিদ হিসেবে নিজেকে সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত রাখেন বেদান্ত। মাধবনের কথায়, ‘‘সকাল ৪টে মানে, ব্রাহ্মমুহূর্ত। এই সময়টি আধ্যাত্মিক ভাবনার জন্য বেছে নেওয়া হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিষয়টা শুধু ওর জন্যই কঠিন নয়, আমাদের বাবা-মায়ের ক্ষেত্রেও এই রুটিন অনুসরণ করা কঠিন।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, শরীচর্চার পাশাপাশি নিজেকে ফিট রাখতে বেদান্ত মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার উপরেও জোর দেন।
ব্রাহ্মমুহূর্ত কী?
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, সূর্যাস্তের দেড় ঘণ্টা আগে ব্রাহ্মমুহূর্ত শুরু হয় এবং তা পরবর্তী ৫০ মিনিট পর্যন্ত থাকে। প্রাচীন কাল থেকেই মুনি-ঋষিরা ধ্যান, যোগাভ্যাস এবং পূজা-অর্চনার জন্য ব্রাহ্মমুহূর্তকে বেছে নিতেন। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, ব্রাহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠতে পারলে শরীর এবং মনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন সহজ হয়।
ব্রাহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠতে হলে
বেদান্তের মতো কেউ চাইলেই ব্রাহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে ওঠার মাধ্যমে আরও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন। কিন্তু তার জন্য কয়েকটি পরামর্শ খেয়াল রাখা উচিত—
১) ধরা যাক, কেউ সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠেন। এক দিনেই তিনি ভোর ৩টে বা ৪টের সময় ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না। তাই প্রতি দিন অ্যালার্ম ১৫ মিনিট করে এগিয়ে রাখা উচিত। সময়ের সঙ্গে ব্রাহ্মমুহূর্তে ঘুম ভাঙবে।
২) প্রতি দিন রাতে একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে ঘুমের সময় পরিবর্তন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে অন্তত রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম হয়।
৩) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্ক্রিনটাইম কমাতে হবে। তার ফলে দ্রুত ঘুম আসবে। এই সময়ে টিভি বা মোবাইলের পরিবর্তে বই পড়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।