কলকাতা, ২২ মার্চ : ঋতুদের রাজদরবারে ধরাচুড়ো পরে বসে থাকেনা বসন্ত।' অচেনা রাজা '- র মত সে বারবার পথে নামে ভরিয়ে দিতে। কখনো আবার ছড়িয়ে দেয় রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলার নানান লোক-আখ্যান। শতাধিক বছরের প্রাচীন মিশনারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লরেটো কলেজ - এর এবারের বসন্ত উৎসব উদযাপনে উঠে এল এই ভাবনাই। কর্মচঞ্চল পার্ক স্ট্রিটের অদূরেই কলেজের ইস্টার্ন কালচারাল সোসাইটির সদস্য ছাত্রীরা কলেজ চত্বরেই যেন তুলে আনল এক টুকরো বৃন্দাবন। তাদের নিবেদন ' বসন্ত আওল'- র শুরু থেকে শেষ, তাই নাচে, গানে, আবৃত্তিতে ও অভিনয়ে কখনো ধরা দিয়েছে ফুল হোলি, লাঠমার হোলি, রং পঞ্চমী থেকে শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব। এই উপস্থাপনা প্রসঙ্গে সমিতি প্রধান উদিতি মহাপাত্র জানায়, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলেজে পড়তে আসা ছাত্রীরা, যাদের বাংলার দোল কিংবা বসন্ত উৎসব সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই, তাদের সকলকে এই উদযাপনে সামিল করার জন্যই এহেন আয়োজন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে টিচার ইন চার্জ সিস্টার ডঃ এ নির্মলার স্বাগত ভাষণেও বারবার উঠে আসে বসন্তের ছোঁয়ায় বৈচিত্র্যের মধ্যেই নতুন ও পুরোনো সব সম্পর্কের প্রাণ পাওয়ার কথা। সব্যসাচী চন্দ-র তালবাদ্য সঙ্গতে কলেজের প্রাক্তনী সংগীতশিল্পী দময়ন্তী দুবে-র অসাধারণ ঠুমরী উপস্থাপন থেকে ভানুসিংহের পদাবলীর গানের সাথে নৃত্য প্রদর্শন, দর্শকাসনে পাশাপাশি বসে একযোগে উপভোগ করতে দেখা যায় শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, প্রাক্তনী ও সদ্য কলেজে পা রাখা ছাত্রীদের। বসন্তের এই সমগ্র উদযাপনটিকে যেন বিনি সুতোয় বেঁধে রেখেছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ' বসন্ত ' নাটকের বেশ কিছু সংলাপ, যা মনে করিয়ে দিল " পূর্ণ থেকে রিক্ত, রিক্ত থেকে পূর্ণ, এরই মধ্যে ওঁর আনাগোনা। "