কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি : প্রশ্নপত্রের খসড়া জেনে চাকরিপ্রার্থীদের আগাম জানিয়ে দিতেন ধৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তার জন্য কুন্তল আগাম টাকাও নিতেন তাঁদের কাছ থেকে। আর কুন্তলের এই কর্মকাণ্ডের গোটাটাই চলত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জ্ঞাতসারে। এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে এমনই বেশ কিছু তথ্য এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে। পার্থর সঙ্গে কুন্তলের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা বিনিময়ের একাংশ থেকেও মিলেছে তথ্য। সেসব খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা।
কুন্তল ঘোষকে জেরার মুখে বারবার তাঁর মুখে উঠে এসেছে চিটফান্ড কর্তা গোপাল দলপতির নাম। গোপাল নামে ওই ব্যক্তির কথা ইডিকে জানিয়েছিলেন তাপস মণ্ডলও। কুন্তল ও তাপসের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তোলার ঘটনায় যোগাযোগের মূল পান্ডা গোপাল দলপতিই। চাকরিপ্রার্থীদের কয়েক কোটি টাকা তুলেছেন গোপাল দলপতি।
ইডি আদালতের অনুমতি নিয়ে গোপাল দলপতিকে জেলে গিয়ে জেরা ও প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে। ইডির দাবি, যাঁদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে, তাঁরা যাতে চাকরি পান, তার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়েছিলেন কুন্তল। পার্থবাবুর সঙ্গে কুন্তলের বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপের বার্তা বিনিময়ে উঠে এসেছে এই তথ্য। কুন্তল যে স্কুলে চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের খসড়া দেখেছেন, তা পার্থবাবুও জানতেন। এভাবে আগাম প্রশ্ন জেনে সেইমতো চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষার জন্য তৈরি হতে বলতেন কুন্তল।কুন্তল ও তাপসের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে টাকা গিয়েছে গোপাল দলপতির কাছে। সেই বিপুল কালো টাকা সাদা করতে চিটফান্ড ও একাধিক বেসরকারি সংস্থায় লগ্নি করে গোপাল। সংস্থাগুলির মাধ্যমেই টাকা পাচার হয়। এখন গোপাল চিটফান্ড মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রয়েছেন তিহার জেলে।