kolkata

1 month ago

Md Salim: পাকিস্তান থেকে টাকা এসেছে, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মোদি-মমতাকে আক্রমণ সেলিমের

Md Salim
Md Salim

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নির্বাচনী বন্ডের তথ্য সামনে আসতেই উত্তাল দেশের রাজনীতি ৷ এবার এই ইস্যুতে মোদি-মমতাকে একযোগে নিশানা করলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ৷ তাঁর কথায়, পুলওয়ামাকাণ্ডের পর নির্বাচনী বন্ডে পাকিস্তান থেকে টাকা এসেছে বিজেপির ফান্ডে ৷ কর্পোরেট কোম্পানির শ্রমিক প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি দাবি করেন, বাংলার প্রতিনিধি হিসেবেই সীতারাম ইয়েচুরি রাজ্যসভার সাংসদ থাকাকালীন 2017 সালে এই নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতা করেন । পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলায় জিতে এসেছেন । প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি ।

রবিবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "নির্বাচনী বন্ড সবথেকে বড় দুর্নীতি । এই দুর্নীতির টাকাই সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি, তারপরে তৃণমূল । কোথা থেকে এল এই টাকা? ওষুধের দাম বাড়িয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলো এই টাকা দিয়েছে । এই টাকা মোদি আর মমতা ভাগ করেছে । আমাদের খনি আমাদের বন্দর, এসবের টাকা এইভাবে চুরি হয়েছে । সন্দেশখালি থেকে গোটা রাজ্যকে যেমন তৃণমূল খালি করেছে, তেমনই ব্যাংক খালি করে দিয়ে গোটা দেশের টাকা মোদি লুট করেছে । এ কারণেই আজকে মমতা চুপ, মোদিও চুপ । নাটক করছে তারা ৷ এখন সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সিপিআইএম গর্বের সঙ্গে বুক ফুলিয়ে বলতে পারে, তারা এই দুর্নীতির টাকা খায়নি ।"

সিপিএম নেতার বক্তব্য, "আমরাই প্রথম 2017 সাল থেকে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধীতা করে আসছি । আদালতে গিয়েছি দীর্ঘদিন, জয়ী হয়েছি । এমনকী, এই নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আজ যা যা বলছে সেই অভিযোগের কথা বহু আগে থেকেই সিপিএম বলে এসেছিল । এ কারণে মোদি-মমতা চেয়েছিল সিপিএম সংসদে না থাকুক, বিধানসভায় না থাকুক । ফলে এখন সাধারণ এবং এই চুরি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংসদে কারা কথা বলবে । মানুষের ঐক্যের কথা কারা বলবে, বেকার ছেলেমেয়েদের কাজের কথা কারা বলবে । মাফিয়া রাজ চলছে দেশে । বেআইনিভাবে কর্পোরেট লুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে । বিজ্ঞাপনের মোড়কে সমস্ত দুর্নীতিকে ঢাকার চেষ্টা করা হয়েছে । সরকারি বরাত পেতে ঘুষের ব্যবস্থা নির্বাচনী বন্ড ।"

যেদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ পায় সেইদিন সন্ধেতে কপালে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় । তাতে কার্যত ঘি ঢেলে তৃণমূলের পারিবারিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তথ্য তুলে ধরেছেন মহম্মদ সেলিম ।

মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের কাহিনীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "মনে রাখতে হবে , ঔরঙ্গজেবের হাতে বন্দি হয়েছিলেন সম্রাট শাহজাহান । আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাত দিয়ে নিজের রক্ত মোছার ক্ষমতা তার নেই । রাজ্যের মানুষকে বাঁচাবেন কীভাবে? আমার সব মধ্যবিত্তর বাড়িতে ফাস্ট এডেড ব্যবস্থা থাকে । মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ছিল না? উনি নিজেই বলেছিলেন বোরোলিনের পরিকল্পনা দিয়েছিলেন । বাড়িতে বোরোলিন ছিল না? কেউ রক্ত মুছে দিল না? ইন্দিরা গান্ধির হত্যার পর মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী এরকম হেভিওয়েটদের বাড়িতে 24 ঘণ্টা ডাক্তারের ডিউটি থাকে । তারা কী করল?"


You might also like!