কলকাতা, ৭ মার্চ : রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ। কেন সেদিন একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর কাছে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী সঙ্গে ছিলেন না? শুক্রবার আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তা জানতে চান কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় ফের কলকাতা হাই কোর্টের তোপের মুখে পড়ে পুলিশ। ব্রাত্য বসুর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ উর্দিধারীরা, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। শিক্ষামন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কেন গোয়েন্দা রিপোর্ট আগেভাগে পুলিশ পেল না। মন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ। এমনই একাধিক বিষয় নিয়ে কথোপকথনের মধ্যেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আইনজীবী কল্যাণ। পরে আক্ষেপের সুরে কল্যাণবাবু জানান, তিনি আর বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কোনও মামলায় অংশগ্রহণ করবেন না।
কল্যাণবাবু বিচারপতিকে বোঝানোর চেষ্টা করে বলেন, "অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মী সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। কোনও রাজনৈতিক সভা বা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক হলে সেখানেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায় না।" উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের যদি বৈঠক হয় সে ক্ষেত্রে তাঁকে যদি আমন্ত্রণ করা হয় সেখানে তিনি কখনওই নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে যেতে পারেন না। আইনজীবী পেশার বাইরেও তিনি একজন জনপ্রতিনিধি এবং লোকসভার সাংসদ। তাঁর নির্দিষ্ট নিরাপত্তা বলয় থাকলেও তিনি সব জায়গায় সেই নিরাপত্তা ব্যবহার করেন না।