kolkata

3 hours ago

HC On R G Kar Case: আর জি কর মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ, ফের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হাই কোর্ট!

Justice Tirthankar Ghosh
Justice Tirthankar Ghosh

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বড় মোড়। এই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বৃহস্পতিবার তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা আদালতে জানান। বিচারপতির সরে দাঁড়ানোর ফলে মামলাটি এখন ফের প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে, যিনি নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করবেন। অভয়া কাণ্ড নিয়ে একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার মূলত নির্যাতিতার পরিবারের তরফে নতুন করে তদন্তের আর্জি সংক্রান্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি জানান, এই সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে। তাই এই মামলার শুনানিও ডিভিশন বেঞ্চে হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন বিচারপতি ঘোষ। এই যুক্তিতেই তিনি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন। 

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় আর জি করে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে খুন করা হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য জুড়ে ছড়ায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা চিকিৎসক মহল। কর্মবিরতিতে সামিল হন বহু জুনিয়র ডাক্তার। সোচ্চার হন সাধারণ মানুষও।ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। পরবর্তীতে তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে। পুলিশি তদন্ত নিয়ে বিভিন্ন বিরোধী দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হলেও, শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তে পুলিশের দেওয়া প্রমাণকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে, এই ঘটনার তদন্তে সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। যদিও আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দল ও নির্যাতিতার বাবা-মা সহ জনমতের একটা বড় অংশ এই রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। তাঁদের বক্তব্য, একটি এতবড় অপরাধে  একজন অভিযুক্তই কীভাবে একমাত্র অপরাধী হতে পারে?

এই আবহেই মামলার পুনর্বিচার বা নিরপেক্ষ বিচারপ্রক্রিয়ার দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহলে। তারই মধ্যে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সরে দাঁড়ানোর ঘটনা মামলার ভবিষ্যৎ গতি নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি করল। হাই কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, বিচারপতির সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যক্তিগত বা নৈতিক কারণ থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। এখন দেখার, প্রধান বিচারপতি এই মামলার দায়িত্ব কাকে দেন এবং পরবর্তী শুনানি কবে হয়।

You might also like!