
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বারবার দাবি করেছে যে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই এই ঘটনার মূলচক্রী। এর ফলে পাঁচবারের বিধায়ক হিসেবে তাঁর সামাজিক সম্মান যে চরমভাবে বিপন্ন হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর 'প্রিয় পার্থদা' কি সত্যিই দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে—এই প্রশ্ন এখন অনেকের মনেই।
দীর্ঘদিন পর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বুধবার নিজ বাসভবনে বসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, তিনি নির্দোষ। তিনি আরও জানান, প্রয়োজনে তিনি তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি যাবেন। সেখানে গিয়ে তিনি সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন। তাঁর এই বার্তা হারানো সম্মান ও রাজনৈতিক 'স্থান' পুনরুদ্ধারের মরিয়া চেষ্টা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।তৃণমূলের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক দলের জন্মলগ্ন থেকে। বেহালা পশ্চিমের পাঁচবারের বিধায়ক তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারির পর পার্থকে দলের সব পদ থেকে সরিয়েছে তৃণমূল। তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিনবছর পর জেল থেকে ফিরেই পার্থ বুঝিয়ে দিলেন রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন না তিনি। তাঁর যুক্তি তিনি বেহালা পশ্চিমের বাসিন্দাদের কাছে দায়বদ্ধ। তাঁরা ৫ বার তাঁকে জিতিয়েছেন।
বুধবার সকালে পার্থ বলেন, “বেহালা পশ্চিমের মানুষ বরাবর আমাকে ভরসা করেছেন। ওদের মনে এখন হাজারও প্রশ্ন। সে প্রশ্নের উত্তর আমাকে দিতে হবে। প্রয়োজনে অটো নিয়ে বেহালাবাসীদের বাড়িতে পৌঁছব। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেব। জানানো আমি সৎ পথে ছিলাম।” অর্থাৎ তিনি যে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে মরিয়া, তা স্পষ্ট। তবে কি বিধানসভা নির্বাচনে ফের প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে? তা খোলসা করেননি পার্থ।
