দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে-কে সম্পত্তি-বিবাদ মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগে ফের তলব করেছে CID । এই মামলায় তৃতীয়বার ডাকা হল বিচারপতির স্বামীকে। এবার জমা দিতে বলা হয়েছে মোবাইল ফোনও। আর এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, আইনজীবী ও রাজনৈতিক মহলে। শুক্রবার আইনজীবিকে হাজিরাদিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে রুজিরা ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সম্পত্তির প্রসঙ্গ ওঠে। যে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২০ ডিসেম্বর অর্থাৎ বুধবার। ১২ নভেম্বর বিচারপতি অমৃতা সিনহা, আয়ের উৎস দেখা হয়েছে কিনা, ED-র উদ্দেশে প্রশ্ন করেন। বিচারপতি সিন্হা বলেছিলেন, আপনাদের কি মনে হয় না, যে এই নথির মধ্যে থাকা সম্পত্তি যদি এই সময়ের মধ্যে হস্তান্তর করে দেওয়া হয় বা বিক্রি করে দেওয়া হয় তাহলে কি হবে ? আপনারা কার কার পিছনে ছুটবেন ?
আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য্য এ প্রসঙ্গে বলেন- 'CID তদন্তের কি প্রয়োজন সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিচারপতি সিনহার এজলাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা আছে। সেটা প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে কিনা দেখা দরকার।'
১ ডিসেম্বর, ১৬ ডিসেম্বরের পর এবার ২২ ডিসেম্বর, একমাসের মধ্যে মধ্যে আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে-কে CID-র তিনবার ডেকে পাঠানো প্রসঙ্গে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি, সিপিএম। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, 'স্টেট স্পনসর্ড টেরোরিজম। বিচারপতির পরিবারকেও ছাড়া হচ্ছে না। আমি সুপ্রিম কোর্টকে বলব এটা দেখতে'।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'দেখে বোঝাই যাচ্ছে কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার চেষ্টা। চাপে রাখার চেষ্টা।'
পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, ' অমিতাভ লালা বাংলা ছেড়ে পালা। বিচারপতিদের নিয়ে তো মিছিল করেছিল সিপিএম। কোনও বিচারপতি দলীয় রাজনীতি থেকে বেরোতে পারছেন না। আইনজীবীরা তো পেশাদার। যিনি বলছেন ঠিক বলছেন না। ইডি-সিবিআই যখন হয়, উইশ লিস্ট আছে কিছু।'