কলকাতা, ২৮ নভেম্বর : গলায় ত্রিশূল ঢুকে গলার পিছন দিয়ে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে তাঁকে বিপন্মুক্ত করা গিয়েছে। অন্তত চিকিৎসকদের সেরকমই আশা। বর্তমানে কোনও রকম সাপোর্ট সিস্টেম ছাড়াই রয়েছেন ওই ব্যক্তি। কী ভাবে গলার মধ্যে ত্রিশূল ঢুকেছে, তা এখনও জানা যায়নি। ভোররাতে এমন সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে আসেন কল্যাণীর এক যুবক। সূত্রের খবর, ওই যুবকের বয়স ৩৩ বছর। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর অবিলম্বে তাঁকে ইএনটি-র জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। গলা ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল ত্রিশূলের তীক্ষ্ম ফলা। তাঁকে দেখেই শিউড়ে উঠেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে এও বুঝেছিলেন, তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার না করা হলে প্রাণ বাঁচানোই অসম্ভব। ফলে ইএনটি বিভাগে ভোররাতেই ওটি রেডি করে ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারে হাত লাগান চিকিৎসকদের একটি দল। আর সাফল্যের সঙ্গেই যুবকের গলা থেকে ত্রিশূলটি বের করে আনেন তাঁরা।
ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক সুতীর্থ সাহার নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়। দলে ছিলেন এক অ্যানাস্থেশিস্ট-সহ আরও দুই চিকিৎসক। ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারে খুঁটিনাটি পরামর্শ দেন প্রণবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে কঠিন অস্ত্রোপচারে তাঁর গলা থেকে ত্রিশূলটি বের করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যুবকের গলার ক্ষত অনেকটা নির্মূল করা গিয়েছে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। ঘনিষ্ঠ মহলে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু ভয় না পেয়ে তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্তেই প্রাণ বেঁচেছে যুবকের।