ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) একটি মামলা শুরু হয়েছিল। গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ ওঠে দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কে রামের বিরুদ্ধে। সে বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত শুরু করে ইডি (ED)। তাঁর সূত্র ধরেই ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী আলমগির আলমের আপ্ত সহায়ক সঞ্জীব লালের খোঁজ মেলে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, আর্থিক তছরূপের পিছনে রয়েছে সঞ্জীব লালও।
আর তার পরই তাঁর ডেরায় অভিযান চালায় ইডির একটি দল। রাশি রাশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, সেই টাকার পরিমাণ এখনও পর্যন্ত ২০ কোটি। লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) মাঝে খোদ মন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের বাড়ি থেকে এত নগদ উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা যাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে সঞ্জীব লালের মোটা অঙ্কের বেআইনি আর্থিক লেনদেন চলত। তাই বাড়িতে টাকা মজুত করা হচ্ছিল। কিন্তু ভোটের মাঝে এত টাকা উদ্ধারে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি এত নগদ নির্বাচনের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা ছিল? এই ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগির আলমের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে ইডি। তিনিও কি আর্থিক তছরূপের ঘটনায় জড়িত? সন্দেহের উর্ধ্বে ওঠা যাচ্ছে না মোটেও।