ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, ৬ অক্টোবর : প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ছিন্নভিন্ন সিকিম। নিখোঁজ বহু। এরই মধ্যে, খোঁজ মিলছে না, সিকিমে বেড়াতে যাওয়া ঝাড়গ্রাম ও বীরভূমের ২ টি পরিবারের ১৩ জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকজন শিশু। আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে পরিবার।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সিকিমে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ভেসে গেছে জাতীয় সড়ক সহ একের পর এক রাস্তা। তিস্তার তোড়ে ভেসে গেছে ঘর-বাড়ি। বাড়ছে মৃতের সংখ্য। খোঁজ নেই সেনা জওয়ান থেকে অসংখ্য় স্থানীয় বাসিন্দার। নিখোঁজ বহু পর্যটক।
খোঁজ মিলছে না, সিকিমে বেড়াতে যাওয়া ঝাড়গ্রামের একই পরিবারের ৫ জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ৫ বছরের একটি শিশুও। ঝাড়গ্রাম পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গাইঘাটা এলাকার বাসিন্দা ওই পরিবার। ১ অক্টোবর ঝাড়গ্রাম থেকে সিকিমে বেড়াতে গেছিল, বাড়ির ২ ছেলে, তাঁদের স্ত্রী এবং বড় ছেলের ৫ বছরের সন্তান। কিন্তু, মঙ্গলবার রাতের পর থেকে তাঁদের আর কোনও খোঁজ নেই। ফোনও সুইচড অফ। আতঙ্কে-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবারের। নিখোঁজ দুই ভাইয়ের বাবা অরুণকুমার রথ বলেন, “সিকিম, দার্জিলিং বেড়াতে যাচ্ছে এই বলে গেছে। প্রথমে সিকিম যাওয়ার কথা। নর্থ সিকিম। ২ দিন ওখানে থাকার কথা। তারপর দার্জিলিঙে। ১ তারিখ গেছে। আজ ৫ তারিখ। কোনও যোগাযোগ হয়নি। পরশু রাতে শেষ কথা হয়েছে। আমার ২ ছেলে, ২ বৌমা ও নাতি। কারও সাথে যোগাযোগ পাইনি’’
অন্যদিকে, খোঁজ মিলছে না, সিকিমে বেড়াতে যাওয়া বীরভূমের ইলামবাজারের একই পরিবারের ৮ জনের। নিখোঁজদের মধ্য়ে রয়েছে ৪ ও ৬ বছরের ২ শিশু।পরিবার সূত্রে খবর, ১লা অক্টোবর বোলপুর থেকে সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেন এই পরিবার। দক্ষিণ সিকিমের একটি হোটেলে ওঠেন। মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর থেকেই তাঁদের আর খোঁজ নেই। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে আত্মীয়দের।
নিখোঁজদের আত্মীয় মহম্মদ মহফুজ রহমান বলেন, “৩ অক্টোবর রাত ৯ টার পর থেকে আর খোঁজ পাচ্ছিনা। ড্রাগন নামে একটি হোটেলে ছিল। লাচুং থেকে লাচেনে আসে। আর যোগাযোগ নেই৷ আমরা খুবই দুশ্চিন্তায়। ঘুম নেই কারও৷ প্রশাসনকে জানিয়েছি৷ আমরা চাই ওদের সঙ্গে একবার ফোনে কথা বলতে।’’