দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলাদেশে বাড়ছে চিকিৎসার খরচ। এই ব্যয় মেটাতে গিয়ে দিশাহারা হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক বাসিন্দাই চিকিৎসার খরচ মেটাতে কোনও না কোনও সমস্যা বা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
কত মানুষ বঞ্চিত?
‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের অবস্থানপত্র’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ, গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট পোভার্টি ও নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনআরডিএস)-এর আয়োজন করে। সেখানেই জানানো হয় যে বাংলাদেশে দরিদ্র পরিবারের ২০শতাংশ মানুষ মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
তারা সরকারি এই স্বাস্থ্যসেবার ২০শতাংশেরও কম পায়। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের ৪৬শতাংশ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে কোনও না কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন।
কী পরামর্শ?
এই কারণে দরিদ্র জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের জন্য সরকারের বরাদ্দও অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ। এই সংস্থার সমন্বয়ক এবং এনআরডিএসের প্রধান নির্বাহী আবদুল আউয়াল জানান, বাজেটে অবহেলিত থাকছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র। টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও বাজেট ও জিডিপির তুলনায় এই বরাদ্দ খুব একটা বাড়ছে না।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির মাত্র ১.৫শতাংশ ব্যয় করে। এই পরিমাণ বৈশ্বিক গড় ৫.৯শতাংশ থেকে অনেক কম।' তাঁর মতে , এটা সবার জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সক্ষমতা তৈরির ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা।
কত খরচ?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা উল্লেখ করে, রবিবার, আবদুল আউয়াল জানান, মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা পেতে হলে একজন বাংলাদেশির বছরে ৮৮ ডলার খরচ করা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে মাথাপিছু খরচ হয় ৫৮ ডলার। এর একটা বড় অংশই নাগরিকরা নিজেরা জোগাড় করেন। তিনি বলেন, 'সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় ৭০শতাংশ নিজেদেরই সংস্থান করতে হয়।'এই টাকার জোগাড় করতে না পেরে অনেকেই বাধ্য হয়ে চিকিৎসা বন্ধ করে দেন বলেও জানান তাঁরা।