ডিপিডিটির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের জেলাশাসক কায়ছারুল ইসলাম ই-মেইলের মাধ্যমে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য, প্রমাণ এবং নথি পাঠান তিনি। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার, বিজি প্রেসের ওয়েবসাইটে গেজেট নোটিফিকেশন জার্নাল আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর দুমাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এরপর অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি যদি আপত্তি না জানায়, তাহলে জেলাশাসক চূড়ান্ত সার্টিফিকেট পাবেন। ডিপিডিটির পেটেন্ট (জিআই) বিভাগের আধিকারিক নীহাররঞ্জন বর্মন বলেন, 'ডাব্লিউআইপিও-র নিয়ম অনুযায়ী জার্নাল প্রকাশের পর দুমাস অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের অফিস থেকে প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই দুইমাসের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষ আপত্তি না করলে জিআই সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।'
সম্প্রতি ভারত নদীয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইলের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসাবে ঘোষণা করেছে। এইনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের মানুষ। অনেকেই বিস্মিত হন। এ নিয়ে নিজের ক্ষোভ জানান সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনও।
ডিপিডিটির আধিকারিকরাও দাবি করেন, 'টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তি বাংলাদেশে। প্রায় ২৫০ বছর ধরে এই বিশেষ শাড়ি তৈরি হচ্ছে টাঙ্গাইলে। সেই জায়গার নাম অনুসারেই এই শাড়ির নামকরণ হয়েছে। এই শাড়ি তার মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রং এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটা টাঙ্গাইলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। তাই ভারত এই শাড়িকে জিআই হিসেবে ঘোষণা করতে পারে না।'
এইসঙ্গে এ নিয়ে জাতিসংঘের অধীন ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনে (ডাব্লিউআইপিও) আপত্তি জানানো হবে কী না তা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান আধিকারিকরা।