International

9 months ago

Tangail Saree: বাংলাদেশের জিআই ট্যাগের স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইল শাড়ি!

Tangail saree was recognized by the GI tag of Bangladesh!
Tangail saree was recognized by the GI tag of Bangladesh!

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়ি’কে প্রাথমিকভাবে স্বীকৃতি দিল। বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রকের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) ওই স্বীকৃতি দিয়েছে। শিল্পমন্ত্রকের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই-এর প্রাথমিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে জানান। এই সংক্রান্ত একটি গেজেট নোটফিকেশন জারি করা হয় বৃহস্পতিবার।

ডিপিডিটির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের জেলাশাসক কায়ছারুল ইসলাম ই-মেইলের মাধ্যমে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য, প্রমাণ এবং নথি পাঠান তিনি। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার, বিজি প্রেসের ওয়েবসাইটে গেজেট নোটিফিকেশন জার্নাল আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর দুমাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এরপর অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি যদি আপত্তি না জানায়, তাহলে জেলাশাসক চূড়ান্ত সার্টিফিকেট পাবেন। ডিপিডিটির পেটেন্ট (জিআই) বিভাগের আধিকারিক নীহাররঞ্জন বর্মন বলেন, 'ডাব্লিউআইপিও-র নিয়ম অনুযায়ী জার্নাল প্রকাশের পর দুমাস অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের অফিস থেকে প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই দুইমাসের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষ আপত্তি না করলে জিআই সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।'

সম্প্রতি ভারত নদীয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইলের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসাবে ঘোষণা করেছে। এইনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের মানুষ। অনেকেই বিস্মিত হন। এ নিয়ে নিজের ক্ষোভ জানান সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনও।

ডিপিডিটির আধিকারিকরাও দাবি করেন, 'টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তি বাংলাদেশে। প্রায় ২৫০ বছর ধরে এই বিশেষ শাড়ি তৈরি হচ্ছে টাঙ্গাইলে। সেই জায়গার নাম অনুসারেই এই শাড়ির নামকরণ হয়েছে। এই শাড়ি তার মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রং এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটা টাঙ্গাইলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। তাই ভারত এই শাড়িকে জিআই হিসেবে ঘোষণা করতে পারে না।'

এইসঙ্গে এ নিয়ে জাতিসংঘের অধীন ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনে (ডাব্লিউআইপিও) আপত্তি জানানো হবে কী না তা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান আধিকারিকরা।


You might also like!