ইসলামাবাদ, ৮ ফেব্রুয়ারি : এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। উপর্যুপরি সন্ত্রাসী হামলা তো চলছেই, এই আবহে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে পাকিস্তানে শুরু হয়েছে সাধারণ নির্বাচন। পাকিস্তানে ভোট শুরু হতেই মোবাইল পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি’র কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
পাকিস্তানে দীর্ঘ দিন ধরে চালু রয়েছে ‘এক দেশ এক ভোট’ ব্যবস্থা। পাকিস্তান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পাশাপাশি বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পঞ্জাব, সিন্ধ, খাইবার-পাখতুনখাওয়া এবং বালুচিস্তানে প্রাদেশিক আইনসভার ভোটগ্রহণও হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পরেই শুরু হবে গণনা। পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এখন মোট আসন ৩৩৬। কিন্তু তার মধ্যে ভোট হয় ২৬৬টি আসনে। বাকি ৭০টি আসন মহিলা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মধ্যে মহিলাদের জন্য ৬০ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি আসন। এ বার মোট ১৬৭টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল পাক নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৫,১২১। প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচনে লড়াই করছেন মোট ১২ হাজার ৬৯৫ জন প্রার্থী। ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটদাতার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৪ লক্ষেরও বেশি।
এ বারের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র মধ্যে। রয়েছে কট্টরপন্থী জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম দলও। তবে ২০১৮-র নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর স্বীকৃতি পাক নির্বাচন কমিশন বাতিল করায় তারা সরাসরি ভোটের ময়দানে নেই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বকাপজয়ী পাক ক্রিকেট অধিনায়কের দলের অনেক নেতা ‘নির্দল’ হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে দু’টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইমরান এখন জেলবন্দি।