দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে বাংলাদেশে। মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহারও ব্রডব্যান্ডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। সমাজ মাধ্যমে নানা রকম গুজব ছড়ানো হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এমনকি অভিযোগ করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্নরকম বিকৃত এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
বাংলাদেশের সরকারের দাবি, এই নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে ফেসবুক, ইউটিউব এবং গুগলের কাছেও। বাংলাদেশের সরকার জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া না হলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হবে ইউটিউব, ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে ফেসবুক, ইউটিউব সহ সোশ্যাল মিডিয়াগুলি প্রয়োজনে বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। রবিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি জানান, গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল-এর হেড অফিস বাংলাদেশে নেই।
তাই বিভিন্ন বিষয়ে তাদের যে সুপারিশ সেটা তারা শোনেও না। তিনি বলেন, 'আমরা বলার পরেও তারা যে শুনছে না, সেটা আমরা পাবলিকলি প্রচার করব। প্রয়োজন হলে এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।'
আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আগে থেকে ‘প্রপার নোটিফাই’ করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান মোজাম্মেল হক। তাঁর দাবি, বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ানো বন্ধ করার বিষয়েও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ব্যাহত হচ্ছে।
নেওয়া হচ্ছে না পদক্ষেপ
বাংলাদেশের সরকার এবং সেখানের শাসক দলের নেতাদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম দেশবিরোধী অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই ধরনের কাজ এবং গুজবের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই নিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও ওই সোশ্যাল মিডিয়ার তরফে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
মোজাম্মেল হক বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় আইনের যে বিধানগুলো রয়েছে, তাতে কোনও অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে তারা আমাদের অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।' তিনি বলেন অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আগামীদিনে এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন তারা। এই সঙ্গে তিনি বলেন, 'এই সোশ্য়াল মিডিয়াগুলি এখানে বন্ধ করে দিলে তার দায় যেন আমাদের ওপরে না আসে। এটা যেন তাদের ওপরেই বর্তায়।'