দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইংল্যান্ড প্রশাসন ক্লাসরুমে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করল। ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু স্কুলে ফোনের উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী জানান, নির্দেশিকাটির লক্ষ্য সারা দেশে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা। শুধুমাত্র পাঠের সময় নয় বরং বিরতি এবং দুপুরের খাবারের সময়সহ স্কুলে সব সময় মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
মোবাইলের জন্য মনঃসংযোগ যে কতটা নষ্ট হয় তা একটি সৃজনশীল উপস্থপনার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ঋষি সুনক। সেই ভিডিয়োটির মাধ্যমেই বোঝাতে চেয়েছেন কিছু ক্ষেত্রে কী ভাবে মোবাইল শিশুদের জন্য মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ক্লাসরুমে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের নতুন নীতিকে সমর্থন করেছেন তিনি। ইংল্য়ান্ডের শিশুদের স্কুলে এবার থেকে আর মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন বন্ধ করার লক্ষ্য একটি নিরাপদ এবং আরও মনোযোগী শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে গোটা ইংল্যান্ড জুড়ে স্কুলগুলির জন্য বিরতির সময় সহ সর্বক্ষণের জন্য মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা বাধ্যতামূলক। ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যের কিছু স্কুল ফোনের ওপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করছে। এই নির্দেশিকার লক্ষ্য় সারা দেশে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা। শিশুদের মোবাইলের বাইরে দুনিয়া সম্পর্কে অবগত করানো। তাদের সৃষ্টিশীল করে তোলা।
মোবাইল যে কতটা মনঃসংযোগের বিঘ্ন ঘটায় তা বোঝাতে ভিডিয়োটি প্রতীকী ভাবে তৈরি করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ঋষি সুনক বারবার কথা বলার চেষ্টা করছেন কিন্তু বারবারই সেই কথার মাঝে তাঁর ফোন বেজে উঠছে। বারংবার ফোন বেজে ওঠায় তাঁর কথা বলাতে ব্য়াঘাত ঘটছে। এরপর এক সময় ঋষি সুনক ফোনটা পকেট থেকে বের করে পাশে রেখে বলেন, 'বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর তাই না?' আর একটি বিবৃতিতে সুনক বলেছেন, 'যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী বলেছেন যে ফোনের কারণে তাদের পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে। আমরা জানি মোবাইল ফোন ক্লাসে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং স্কুলে গুন্ডামি সৃষ্টি করে।'
ইতিমধ্যেই একাধিক বিদ্যালয় মোবাইল ফোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। চেষ্টা করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও ভালো মানের শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা।