দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জল্পনা তুঙ্গে। কিন্তু, ট্রাম্প ফের হোয়াইট হাউসের কুর্সি পেলে সেদেশে পড়তে এবং গবেষণার কাজে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কপাল পোড়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। কারণ, ট্রাম্প আমেরিকায় বিদেশিদের বসবাসের বিষয়ে বেশ কিছু আইনি পরিবর্তন করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্গত সমস্ত অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রেও একই আইন লাগু হওয়ায় বিপুল সংখ্যক ভারতীয় পড়ুয়া-গবেষকের ভবিষ্যৎ অথই জলে পড়তে পারে।
হেরিটেজ ফাউন্ডেশন নামে একটি রক্ষণশীল থিঙ্কট্যাঙ্ক সংস্থার একটি সমীক্ষায় এই রহস্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। উল্লেখযোগ্য, এই সংস্থাটির ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারাই জানিয়েছে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসলে অভিবাসন আইনে ব্যাপক রদবদল ঘটতে পারে। যা বিদেশি বসবাসকারীদের পক্ষে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এই সংস্থাটি দ্বিতীয় ট্রাম্প সরকারের একটি নীতি রূপায়ণকারী খসড়া তৈরি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, অভিবাসন আইন অর্থাৎ সেদেশে বসবাসের অনুমতির ক্ষেত্রে নিয়মকানুন আগেরবারের তুলনায় আরও জটিল হবে। যার ফলে ট্রাম্পের আগের মেয়াদের তুলনায় তাকে বিদেশিদের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
সমীক্ষায় প্রকাশ, এই নীতিকে সহজ বা নতুন ভাবনা বলে ভাবা ভুল হবে। আগের নীতি মুছে ফেলে পুনরায় প্রয়োগ করবেন ট্রাম্প। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত হলে তাঁর প্রস্তাব কংগ্রেস এবং আদালতকেও পাশ কাটিয়ে যেতে পারে, যা আমেরিকা অভিবাসন ব্যবস্থাকেই খর্ব করে দিতে পারে, মত সমীক্ষার।
প্রস্তাবে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে?
১। কোনও অঙ্গরাজ্য নির্দিষ্ট কিছু অভিবাসীদের সেখানকার কলেজে পড়াশোনার অনুমতি দিলে সরকার দুই-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত অর্থসাহায্য বন্ধ করে দিতে পারে। এদেরকে মার্কিন পরিভাষায় ড্রিমার্স বলা হয়।
২। পুনর্নবীকরণ আবেদন বাতিল করে দিয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ ড্রিমার্সের আইনি স্ট্যাটাস খারিজ করে দেওয়া হতে পারে।
৩। এইচ ২এ এবং এইচ ২বি-তে নথিভুক্তির জন্য নথিভুক্ত দেশগুলি বার্ষিক অনুমোদন অর্থাৎ অস্থায়ী কর্মীদের ভিসা বাতিল করা হতে পারে।
৪। অ-মার্কিন কোনও ব্যক্তি কিংবা আইনত স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া কাউকে বাড়িতে থাকতে দিলে তাঁদের সরকারি খাত থেকে প্রাপ্ত ভরতুকি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
৫। অঙ্গরাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ড্রাইভার লাইসেন্স এবং করদাতাদের পরিচয় প্রকাশ করতে বাধ্য করা হতে পারে অন্যথায় তাদের বিরাট জরিমানা করার পথ খোলা রাখবেন ট্রাম্প।
এছাড়াও আইনি অভিবাসীর তকমাও ছাঁটা হতে পারে দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনে। এর মধ্যে রয়েছে, উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন এবং অস্থায়ী কর্মী, পরিবারের সঙ্গে বসবাস এবং মানবিক সুরক্ষা। ভিসা দানের যোগ্যতাও পরিবর্তন করার সম্ভাবনা প্রবল। পরিযায়ী ভিসার ক্ষেত্রেও আইনে রদবদল আনতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, বলছে সমীক্ষা।