সেই কারণে এর ওপর নজর রাখতে বিশেষ একটি ‘রিসার্চ ভেসেল’ বা ভাসমান গবেষণাগার পাঠিয়েছে চিন। সেই জাহাজ এসেছে বঙ্গোসাগরে এবং বিশাখাপত্তমের কাছাকাছি এলাকায়।
দ্বিতীয়বার একই কাজ
আগেও ভারত সফলভাবে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। সেই সময়েও নজরদারি চালাতে এসেছিলেন চিনের জাহাজ। এখন মালদ্বীপের সঙ্গে বিরোধ বাড়ছে ভারতের। তাই এই সুযোগকেও কাজে লাগিয়েছে চিন। জানা গিয়েছে, মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে অই ‘রিসার্চ ভেসেল’।
যদিও সেটির প্রধান লক্ষ্য ওডিশা উপকূলে অবস্থিত এপিজে আব্দুল কালাম আইল্যান্ড-এ নজরদারি রাখা। উলেক্ষ্য, এখন চিন ছাড়াও রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে এই রকমের উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপনাস্ত্র।
কীভাবে নজরদারি?
সমুদ্রে জাহাজ নিয়ে বিশ্লেষণমূলক তথ্য প্রদানকারী সংস্থা, মেরিন ট্রাফিক’ জানিয়েছে, চিনের Qingdao বন্দর থেকে যাত্রা করেছে ‘জিয়াং ইয়াং হং ০১’ নামের একটি জাহাজ। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সেটি যাত্রা শুরু করে। ডামিয়েন সাইমন জানিয়েছে, রবিবার , ৪৪২৫ টনের সেই জাহাজ প্রবেশ করে বঙ্গোপসাগরে। রবিবার সেটি ছিল বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ২৬০ নটিক্যাল মাইল বা ৪৮০ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকেই ভারতের নিউক্লিয়ার পাওয়ারড ব্যালিস্টিক মিশাইল সাবমেরিন ছাড়া হয়।
কেন এই কাজ?
ভারত, এই ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ করার আগেই প্রতিবেশি দেশ, যেগুলি ৩৫০০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে আছে, তাদের সতর্ক করে। সূত্রের খবর, তার আগেই সেখানে প্রবেশ করে চিনের ওই জাহাজ। সেখান থেকে ‘স্পাই’ হিসাবে কাজ করে সেটি। সূত্রের খবর, রবিবার সেখানে সেই জাহাজ আসার প্রধান কারণ হল, পুরো উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া নজরদারি করা এবং এর রেঞ্জ ও কার্যকারিতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।
যদিও চিনের দাবি, শুধুমাত্র সমুদ্রে গবেষণার জন্য ওই জাহাজ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ভারত সহ বিভিন্ন দেশের মতে, প্রতিবেশি এবং প্রতিদবন্ধী দেশের নৌবাহিনীর ক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করাই কাজ ওই জাহাজের। এর আগে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেও যখন ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করা হয় সেই সময়েও সেখানে এসেছিল চিনের জাহাজ।
ওই পরীক্ষার কয়েকদিন আগেই সেখানে এসেছিল ‘ইয়ুয়ান ওয়াং ০৬’ নামের একটি জাহাজ। এবারও সেই জাহাজ ঘুরে বেড়াচ্ছে মালদ্বীপের সমুদ্রসীমার মধ্যে।