দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ অরুণাচল প্রদেশ হোক বা লাদাখ, সর্বদাই সীমান্ত এলাকায় নানাবিধ গতিবিধির মাধ্যমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টায় থাকে চীন। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে সীমান্ত পেরিয়ে ভুটানের উত্তর-পূর্বে ক্রমশ সিঁধ কাটছে চিন। বেয়ুল খেনপাজং অঞ্চলে নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে নগর নির্মাণ করছে চিন। শুধু এই অঞ্চলে নয়, অভিযোগ, ভুটানের উত্তর, পশ্চিম, এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ভূখণ্ডে ক্রমশ অবৈধ দখলদারি চালাচ্ছে চিন।
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের তিব্বতের ইতিহাস সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ রবার্ট বার্নেট জানিয়েছেন, চিন সম্প্রতি কিছু অঞ্চল তাদের বলে দাবি করছে। প্রতিবেশী দুর্বল জেনেই তাদের এই পদক্ষেপ। সুযোগ থাকলে ভুটানও প্রত্যাঘাত করত। তবে এক দিকে জমি দখলদারি অন্য দিকে ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনাও চালাচ্ছে বেজিং। যার অর্থ, পিছু হটার পরিবর্তে ওই অঞ্চলে নির্মাণকাজ বহাল রাখার প্রশ্নে অনড় মনোভাব নিচ্ছে বেজিং।
চিনের জমি দখল নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে ভারতে ভুটানের দূত ভেসতপ নামগিয়েল জানিয়েছেন, সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ না খোলাই তাঁদের নীতি। তবে দেশের সীমান্তে সুরক্ষা বজায় রাখতে ভুটান বদ্ধপরিকর।
উপগ্রহ চিত্র খতিয়ে দেখে এক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বড় আকারের বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। তা শতাধিক আবাসনও হতে পারে। জন পোলক ও ড্যামিয়েন সাইমন নামে দুই বিশেষজ্ঞ জানান, পার্বত্য অঞ্চলের যে জমিতে চিনা দখলদারির তথ্য উঠে এসেছে, সেখানে ভুটানের রাজপরিবারের অস্তিত্ব ছিল।