দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ১০০ বছর পেরিয়ে ফের উদয় হল দৈত্যাকার তিমির। বিশালাকার নীল-ধূসর বর্ণের তিমিকূলের আবারও দেখা মিলেছে আর্জেন্টিনার প্যাটাগোনিয়ান উপকূলের কাছে। গত ১০০ বছরের ক্রমাগত শিকারের ফলে এই দৈত্যাকার তিমি প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছিল। বর্তমানে এই প্রত্যাবর্তন প্রাণীকূল ও পরিবেশের জন্য নিঃসন্দেহে ইঙ্গিতপূর্ণ।
১৯২০ এবং ১৯৩০-সালের মধ্যে আর্জেন্টিনার উপকূল বরাবর তিমিশিকারী জাহাজ চলাচল করত। ফলে সেই সময় বিপুল পরিমান তিমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। একসময় এমন আসে যে তিমি পরিবার নিজেদের এলাকা থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে তিমি শিকারের উপর বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ফলে তিমি সহ একাধিক বিশালাকার মৎস্যকূলকে সাগর-মহাসাগরে ফিরিয়ে আনার প্রবলভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন জীববিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা।
আর্জেন্টিনার CONICET বৈজ্ঞানিক সংস্থার জীববিজ্ঞানী এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের গবেষক মারিয়ানো কসকারেলা এই বিষয়ে বলেছেন, "তিমিকূল অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল কারণ তখন তাদের যথেচ্ছ পরিমাণে শিকার করা হয়েছিল। আনন্দের কথা, তারা বিলুপ্ত হয়নি। শুধু সংখ্যা এতটাই হ্রাস পেয়েছিল যে নীল-ধূসর বর্ণের তিমি মনুষ্য চক্ষুর অন্তরালে চলে গিয়েছিল। ১০০ বছর পরে সেই সংখ্যক তিমিই ফিরে এসেছে হয়তো যা শিকারের আগে ছিল।"
মহাসাগরীয় দৈত্যাকার নীল-ধূসর বর্ণের তিমি হয় বিশাল আকারের। এরা প্রতি দুই থেকে তিন বছর অন্তর বংশবৃদ্ধি করে। তিমি প্রজাতির পুনরায় বৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্বব্যাপী স্থগিতাদেশকে কৃতিত্ব দিয়ে কসকারেলা বলেছেন, “আমরা নীল-ধূসর বর্ণের দৈত্যাকার তিমির ফিরে আসাকে বিশ্বব্যাপী সংরক্ষণের সাফল্য হিসাবে বিবেচনা করতে পারি।"
পুরো এক শতাব্দীর অনুপস্থিতির পর দৈত্যাকার তিমিকূলের এই অসাধারণ প্রত্যাবর্তন অন্যান্য বিপন্ন প্রজাতির জন্য নিঃসন্দেহে আশার আলোকে উজ্জ্বীবিত করছে।