দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব পালিত হতে চলেছে আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে। বিশ্বভারতীর তরফে শান্তিনিকেতনের গৌড় প্রাঙ্গণেই এই বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হবে। বৈতালিক, শোভাযাত্রা, মূল মঞ্চে অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সন্ধ্যেবেলায় হবে নৃত্যানুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠানই হবে রবীন্দ্র ঐতিহ্য মেনে। তবে সেই বসন্ত উৎসবে কি প্রবেশাধিকার থাকবে পর্যটকদের?
মানুষের কাছে আকর্ষণের এক অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু বিশ্বভারতীর এই বসন্ত উৎসব। দোলের মরশুমে বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব নিয়ে বরাবরই উন্মাদনা দেখা গিয়েছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, বোলপুরবাসী তথা পর্যটকদের মধ্যে। কারণ একটা সময় বহু মানুষের জমায়েত হত বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসবে। তবে করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বন্ধ ছিল বিশ্বভারতীর সেই বসন্ত উৎসব। তারপরে ২ বছর ঘরোয়াভাবলে বসন্ত বন্দনার আয়োজন করা হয়। এবার ফের বড় করে বসন্ত উৎস হতে চলেছে বিশ্বভারতীতে।
এই প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, '২৬ তারিখ বসন্ত উৎসবের আয়োজন নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ১৩ তারিখের মধ্যেই বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হবে গৌড় প্রাঙ্গণে। যেমনভাবে এই উৎসব পালন করা হয় ঠিক তেমনভাবেই পালন করা হবে। তবে চূড়ান্ত দিন এখনও ঠিক হয়নি। চূড়ান্ত হলেই অনুষ্ঠানসূচি দিয়ে দেওয়া হবে।'
পর্যটকদের প্রবেশাধিকার সম্পর্কে মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কোনও পর্যটকের প্রবেশাধিকার থাকছে না। শুধুই বর্তমান কর্মী, অধ্যাপক অধ্যাপিকা , ছাত্র ও ছাত্রী এবং তাঁদের পরিবারের দু'জন করে এই উৎসবে উপস্থিত থাকতে পারবেন।' মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, অনুষ্ঠান যেভাবে হয় সেভাবেই হবে। অর্থাৎ অনুষ্ঠানের আগের দিন বিকেলে বৈতালিক ও অনুষ্ঠানের দিন সকালে বৈতালিক। তারপর শোভাযাত্রা, মূল মঞ্চে অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যেবেলায় একটি নৃত্যানুষ্ঠান। সেক্ষেত্রে এই বছর সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের 'শ্যামা' করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বোলপুর শান্তিনিকেতনে সারাবছরই কমবেশি পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। তারমধ্যেও দোলের সময় সেই ভিড় অনেক গুণ যায়। রাজ্য়ের বিভিন্ন জেলা, এমনকী ভিনরাজ্য বা বিদেশ থেকেও বহু মানুষ ভিড় করেন বোলপুরে। একটা সময় দোলে শান্তিনিকেতনের অন্যতম আকর্ষণই ছিল বিশ্বভারতীয় বসন্ত উৎসব। তবে কোভিডকালে তা বছর দুয়েক বন্ধ ছিল। এবার ফের তা বড় করে আয়োজন করার সিন্ধান্ত নেওয়া হলেও প্রবেশাধিকার থাকছে না সাধারণ পর্যটকদের। আর বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্তে পর্যটকদের যে মন খারাপ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।