দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শতবর্ষ পেরিয়েছে বহুদিন আগেই। বর্তমানে তাঁর বয়স পাঁচ কুড়ি ১৪ বা বলা ভাল ১১৪ বছর। স্বাভাবিকভাবেই শরীর ভেঙেছেও অনেকটাই। যদিও বড়সড় কোনও রোগ নেই। ২০১৯ বা ২০২৩ সালে নিজের ভোটাধিকারও প্রয়োগ করেছেন। আবারও চলে এসেছে ভোট। আর সেই ভোটের প্রাক্কালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বরিষ্ঠ ভোটারকে সংবর্ধনা জানিয়েছে বাসন্তী ব্লক প্রশাসন।
সংবর্ধনা জানাল প্রশাসন
নিজের বয়স ঠিক কত তা অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না ১১৪ বছরের হাজারি সর্দার। তবে বয়স যে অনেক তা তাঁর স্মরণে আছে। সাংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে নিজের বয়স সম্পর্কে বলতে গিয়ে অবশ্য ভুল করে হাজারের বেশি বলে ফেলেন। হাজারি সর্দার বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর বিধানপল্লীর বাসিন্দা। প্রশাসন সূত্রের খবর, তিনিই জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সবচেয়ে বরিষ্ঠ ভোটার। আর বরিষ্ঠ ভোটার হওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই বাসন্তী ব্লক প্রশাসনের তরফে তাঁকে সংবর্ধনাও জানান হয়েছে। ফুল, মিষ্টি ও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাসন্তীর বিডিও সঞ্জীব সরকার নিজের হাতে তুলে দিয়েছেন হাজারি সর্দারের হাতে।
বর্তমানে থাকেন মেয়ের বাড়ি
হাজারি সর্দারের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। সকলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তাঁদেরও নাতিনাতনি রয়েছে। বর্তমানে মেজো মেয়ে সুরধ্বনি মণ্ডলের বাড়িতেই থাকেন হাজারি। বাকি দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে ভিন জেলায়। একমাত্র ছেলে থাকেন রায়নগরে। বাড়ির মধ্যেই সামান্য হাঁটাচলা করলেও বয়সের ভারে দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি সবই ক্ষীণ হয়েছে হাজারির। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের সময় থেকে আর বুথে গিয়ে ভোট দেননি তিনি। প্রশাসনের উদ্যোগে বাড়িতে এসেই তাঁর ভোট নিয়ে গিয়েছিলেন ভোটকর্মীরা। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় গাড়িতে করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে বয়স ১০০ পেরিয়ে গেলেও শারীরিক তেমন কোনও সমস্যা নেই বলেই জানান হাজারির নাতি নারায়ণ মণ্ডল। এমনকী এখনও নাতি নাতনিদের বাংলাদেশের গল্প শোনান তিনি।
প্রসঙ্গত, আর কয়েকদিন পরেই দেশে প্রথম দফার নির্বাচন। আর সেই ভোট প্রক্রিয়া যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুবাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মানুষ যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর কমিশনের কর্তারা। সেক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা রাখা হচ্ছে। এছাড়া মানুষ যাতে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অংশ নেন তার জন্য ভোটারদের উৎসাহও দেওয়া হয়। বলতে গেলে সেই প্রক্রিয়ারই অংশ হিসেবে হাজারি সর্দারকে সংবর্ধনা প্রশাসনের।