দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ জাতীয় মহিলা কমিশন সোমবার সন্দেশখালিতে হাজির হল। তাঁরা গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলবেন। মহিলাদের উপর কী ধরনের অত্যাচার চলছে? সে ব্যাপারে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল যায় সন্দেশখালি। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে সরাসরি দোষারোপ করেন তিনি। পালটা, চোপড়ার ঘটনা নিয়ে কেন জাতীয় মহিলা কমিশন সরব নয়, সে নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল কংগ্রেস।
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মা জানান, তিনজনে প্রতিনিধি দল এসেছেন। সন্দেশখালির মহিলারা কেউ যেন ভয় না পায়, সেটা নিশ্চিত করতেই আমরা এসেছি। তাঁরা যেন এসে তাঁদের অভিযোগ জানায়,যার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা যেন বলে। সন্দেশখালি ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলব। দিল্লি গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে বিষয়টি জানানো হবে।
পাশাপাশি তিনি এও জানান, পুলিশ অনেকাংশেই মহিলাদের অভিযোগ নিচ্ছে না। জেলা পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ করছে না বলেই অভিমত তাঁর। তাঁর কথায়, গ্রামের মহিলাদের মধ্যে এক জন ভয় কাটিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। বাকি অভিযুক্ত গ্রেফতার হলে বাকিদেরও ভয় কাটবে। আরও মহিলা সামনে আসবেন বলেও মত তাঁর।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিজেপি নেত্রী জানান, ‘মহিলারা থানায় অভিযোগ করতে গেলে শেখ শাহজাহানের গ্যাং থেকে অনুমতি নিতে বলা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়নি, এর পিছনে কারণ হল সেই পুলিশ অফিসাররাও শেখ শাহজাহানের সাথে রয়েছেন।’
তবে জাতীয় মহিলা কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে পালটা চোপড়ার ঘটনাকে সাক্ষী করছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, ওখানে ইতিমধ্যেই উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা গ্রেফতার হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেশে আরও ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ নিজেদের মতো তদন্ত চালাচ্ছে।
তবে জাতীয় মহিলা কমিশনকে তাঁর প্রশ্ন, ‘কেন চোপড়া ট্র্যাজেডির প্রতি কোন মনোযোগ দেওয়া হয়নি যেখানে বিএসএফের অবৈধ কার্যকলাপের কারণে ৪ জন নিষ্পাপ শিশু প্রাণ হারিয়েছে।’ চোপড়ায় শিশু হারা চার অসহায় মায়ের সঙ্গে তাঁরা কেউ কেন দেখা করছে না, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগেও জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। গ্রামে গ্রামে গিয়ে কথা বলে রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরাও।