প্রসঙ্গত, গতবারে প্রায় ৩ লাখ ২১ হাজার ভোটের ব্যবধানে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেককে প্রার্থী করেছে দল। গত বুধবার বসিরহাটের সভা থেকে অভিষেক নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, এবারে তাঁর জয়ের ব্যবধান কত হতে পারে। একই সঙ্গে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রেরও জয়ের মার্জিন বেঁধে দিয়েছেন তিনি।বসিরহাটের সভা থেকে অভিষেক বলেন, “এবারে ডায়মন্ড হারবারে চার লক্ষের ব্যবধানে বান্ডিল করব। আপনাদের বসিরহাটের জয়ের ব্যবধান চার লাখ হবে তো ? আগেরবার সাড়ে তিন লাখ ছিল। এবারে আরও ৫০ হাজার বাড়াতে হবে।”
ডায়মন্ড হারবার থেকে ভোটে দাঁড়াতে চান আইএসএফের ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। এমনকী, এ ব্যাপারে একাধিক সভা থেকে অভিষেককে হারানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন নওশাদ। যদিও নওশাদকে প্রার্থী করা হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট করেনি আইএসএফ। পর্যবেক্ষকদের মতে, নিজের জয়ের ব্যবধান জানিয়ে আদতে নওশাদ-সহ বিরোধীদেরই বার্তা দিতে চেয়েছেন অভিষেক। তবে নওশাদ এখনও পর্যন্ত দাঁড়াচ্ছেন না বলেই সূত্রের খবর ৷ অন্যদিকে যে চার আসনে বিজেপি এখনও প্রার্থী দেয়নি তার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা আসন। যা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র রাজনৈতিক কটাক্ষ করতে পিছপা হচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় সভা করে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনগর্জন সভা নাম নিয়ে এগুলি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মথুরাপুরেও তিনি একটি জনসভা করবেন। আবার আগামী সপ্তাহ থেকে বেশ কয়েকটি জেলায় তার সাংগঠনিক বৈঠক আছে। তার মধ্যে উত্তরের তিন জেলা আছে।