দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই এক নাবালিকার বিয়ে ঠিক করেছিল তাঁর পরিবার। মঙ্গলবার ছিল বিয়ের দিন। বিয়ে আটকাতে বারংবার বাড়ির লোকজনকে বোঝাতে অক্ষম হলে প্রধান শিক্ষককে ফোন করে সব জানায় ‘কন্যাশ্রী’। সেই সঙ্গে সে আরও বলে ‘আমি এখন পড়তে চাই।’ অবশেষে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ব্লক প্রশাসন, পুলিশের সহযোগিতায় বন্ধ হয়ে যায় নাবালিকার বিয়ে।
শালবনির ওই নাবালিকা সবে মাধ্যমিক দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই বিয়ে ঠিক করে ফেলা হয় তার। প্রতিবাদ জানিয়েও লাভ হয়নি। উপায় না পেয়ে অবশেষে চুপিসাড়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ফোন করে সে।
প্রধান শিক্ষক এ দিন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ এক ছাত্রী আমাকে ফোন করে। জানায় যে, জোর করে তার বাবা-মা বিয়ে দিয়ে দিতে চান। কিন্তু সে বিয়ে করতে চায় না। পড়তে চায়। জানতে পারি, মেয়েটি এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ১৭ বছর বয়স। এই ঘটনা জানার পর আমাদের স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাব, পরিচালন সমিতি, পুলিশ ও ব্লক অফিসের আধিকারিকদের জানিয়ে, কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যাই। ছাত্রীর বাবা-মাকে বোঝানো হয়। প্রথমে স্বীকার করতে না চাইলেও, পরে ঘটনার কথা স্বীকার করেন তাঁরা। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘স্কুলে আসার পর দেখি, ছেলেটিও আমাদের প্রাক্তন ছাত্র। সে ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং কথা দেয়, ছাত্রীর আঠারো বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করবে না। ছাত্রীর এই রুখে দাঁড়ানো এবং প্রতিবাদী মনোভাবকে কুর্নিশ জানাই।’