হুগলি, ১৮ আগস্ট : সোমবার বিজেপির ডাকা টানা ১২ ঘণ্টার বনধে ‘নিস্তব্ধ’ খানাকুল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনধ ডাকার পর খানাকুলের আরামবাগ গড়েরঘাট এলাকার রাস্তার উপরে গাছ কেটে পড়ে থাকতে দেখা যায়। যার জেরে বিঘ্নিত হয় যানচলাচল। অন্যদিকে, খানাকুলের একাধিক জায়গা মিলিয়ে এদিন সকালে বন্ধই থেকেছে দোকানপাট।
প্রসঙ্গত রবিবার শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় খানাকুলে। বিজেপির কার্যালয়ে চলে ভাঙচুর, অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ইট-পাটকেলের আঘাতে জখম হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ।
এরপর সোমবার সকাল থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘বর্বরতার’ অভিযোগ তুলে পথে নামে বিজেপি। ডাক দেয় ১২ ঘণ্টা বনধের। পাশাপাশি, খানাকুল থানা ঘেরাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে। তবে এই ১২ ঘণ্টার বনধকে একেবারে ভেঙে দিতে পথে নামতে চলেছে শাসক শিবিরও।
এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বেশ কিছু দোকান তৃণমূল সমর্থকের হলেও, বিজেপির প্রতিবাদে তারা সাড়া দিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের বনধে যেন সমর্থন জুগিয়েছে বাস চালকরাও। খানাকুলের বন্দর-আরামবাগ বাস চলাচল আপাতত বন্ধ। তবে আরামবাগ-খানাকুলের বর্ডার পর্যন্ত বাস চলাচল করছে। এক বাস চালক বলেন, “খানাকুলে কোনও গাড়ি যাচ্ছে না। বনধ ডেকেছে। যখন বুঝব চালাতে হবে, তখন চালাব।” তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় সকাল পর্যন্ত বন্ধই দেখা গিয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয়ও।
একদিকে বিজেপি মাঠে নেমেছে বনধ সফলে, সেই মুহূর্তে শাসক শিবির নেমেছে তার বিরোধিতায়। আর এই দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রস্তুত পুলিশ। শুরু হয়েছে টহলদারি।