দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে লড়াকু ইনিংস রোহিত শর্মার। শ্রেয়স আইয়ারের ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি। শেষদিকে গম্ভীরের প্রিয় হর্ষিতের চমক। সব মিলিয়ে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সম্মানজনক স্কোর করল ভারত। কিন্তু এই ২৬৪ রানের পুঁজি নিয়ে আদৌ অজিদের চ্যালেঞ্জ জানানো যাবে তো? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ফের টস হারেন অধিনায়ক শুভমান গিল। এই নিয়ে টানা ১৭ বার। টস হেরে কঠিন পরিস্থিতিতে আগে ব্যাট করতে নামতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। এমনিতে অ্যাডিলেডের পিচ ব্যাটিং সহায়ক। কিন্তু সমস্যা হল আবহাওয়া। গত দু’দিন অ্যাডিলেডে আকাশ মেঘলা ছিল, বৃষ্টিও হয়েছে। ফলে পিচে ময়েশ্চার জমেছিল ভালোই। যা রীতিমতো ভয়ংকর করে তোলে মিচেল স্টার্ক এবং জশ হ্যাজেলউডকে। বিশেষ করে হ্যাজেলউডকে খেলা একপ্রকার অসম্ভব মনে হচ্ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই কঠিন পরিস্থিতিতে ধীরে সুস্থে শুরু করার চেষ্টা করেন রোহিত শর্মা। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে মাত্র ৯ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক গিল। এদিন ফের ব্যর্থ হন বিরাট কোহলি। কেরিয়ারে এই প্রথমবার পর পর দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেন বিরাট। প্রথম ১০ ওভারে ভারত মাত্র ২৭ রান তোলে। যা কিনা ২০২৩ সালের পর পাওয়ার প্লে-তে টিম ইন্ডিয়ার সর্বনিম্ন রান।
একটা সময় মনে হচ্ছিল, পারথের মতোই অল্প রানে গুঁটিয়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু কঠিন পরিস্থিতিতে পালটা লড়াই শুরু করেন রোহিত শর্মা এবং শ্রেয়স আইয়ার। ইনসাইড-আউট, পুল শট, সুইপ শট একে একে নিজের সব শট ঝুলি থেকে বার করেন রোহিত। পুল শটে পরপর দু’টি ছক্ষা হাঁকাতেও দেখা যায় তাঁকে। সব মিলিয়ে ৯৭ বলে ৭৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেন হিটম্যান। শ্রেয়সও ৭৭ বলে ৬১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। পাঁচ নম্বরে নেমে অক্ষর প্যাটেল ৪৪ রান করেন। সেসময় বেশ ভালো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু এরপর পর পর ব্যর্থ হন কে এল রাহুল, ওয়াশিংটন সুন্দর এবং নীতীশ রেড্ডি। ফলে ফের চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া।
২২৬ রানে ৮ উইকেট খোয়ানোর পর মনে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া হয়তো আড়াইশো পেরোবে না। কিন্তু সেখান থেকে আবার অপ্রত্যাশিতভাবে পালটা লড়াই শুরু করেন হর্ষিত রানা এবং অর্শদীপ সিং। নবম উইকেটের জুটিতে তাঁরা ৩৭ রানে তোলেন। হর্ষিত চমকপ্রদভাবে ১৮ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। অর্শদীপ করেন ১৩ রান। শেষ পর্যন্ত ভারত ২৬৪ রানে পৌঁছায়।