দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রবিবার বীরভূমে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা। তবে এর আগেই সেখানে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'। অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের হুঁশিয়ারি দিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামী আলম শেখ। তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকা ছাড়তে এমনকি কাজল শেখকে 'বীরভূমের মুখ্যমন্ত্রী' বলেও সম্বোধন করেন আলম।
এই নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে বীরভূমে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভাকে সামনে রেখে যে কোর কমিটি গড়েছিলেন তা থেকে বাদ গিয়েছেন কাজল শেখ। এমনকী, কাজলকে সতর্কও করেন দলনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের সময়ই ফের একবার এই ধরনের মন্তব্যে অস্বস্তিতে দল।
সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে বলা হয়েছে আলম শেখ অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করে তাঁকে হনুমান বলে সম্বোধন করছেন। যেখানে তিনি বলেন, 'একজন বীর হনুমান যাঁকে মানুষ ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, তিনি ভেবেছেন দু'চার জনকে ঢুকিয়ে নিজের দোকানকে পার্টি অফিস করবেন। কিন্তু, তিনি যে মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন আমাদের এক মিনিটও লাগবে না সেই দোকান সরিয়ে দিতে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের নেতা কাজল শেখকে বীরভূমের মুখ্যমন্ত্রী বললেও ভুল হবে না।' এই ভাইরাল ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। নাম না করেও অনুব্রত মণ্ডলকেই তোপ দেগেছেন তিনি, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
অনুগামীর এই মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন কাজলও। তিনি বলেন, ‘কে কোথায় কী বলছে সেই নিয়ে বিচার বিবেচনা করার মতো সময় আমার নেই। এই ধরনের কেউ কোনও কথা বলবে সেই বিষয়টিকে আমি ভালো চোখে নিই না। অনুব্রত মণ্ডল আমার রাজনীতিতে অভিভাবক। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও টিম অনুব্রত লড়েছিল, লোকসভাতেও টিম অনুব্রতই লড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত মামলাতেও বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন না। তাঁকে মিথ্যা মামলায় জেলে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, আমাদের সৌভাগ্যের বিষয় বীরভূমের দায়িত্বে রয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এটা আমাদের কাছে কোনও ব্যাপার নয় যে কে আছে আর কে নেই। বীরভূমে যে কেন্দ্রগুলি রয়েছে সেখানে তৃণমূল জয়ী হবে।’
এই প্রসঙ্গে কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, 'কে কী বলছে তা নিয়ে মন্তব্য করতে রুচিতে বাঁধে। এই ধরনের কথা বলা উচিত নয়। কাজল শেখ আমাদের দলের লোক, অনুব্রত মণ্ডল এই জেলার উন্নয়নের কাণ্ডারি। তাই যিনি বলছেন প্রশাসন নিজের তরফে ব্যবস্থা নেবে। কুরুচিকর কথা বার্তা না বলাই ভালো।'