জানা গিয়েছে ওই ২১ জন রোগীই বহরমপুরের একটি নির্দিষ্ট নার্সিংহোমের রোগী। তাঁদের অনেকেরই সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান ডেলিভারি হয়েছিল সেখানে। বাকিদের হয়েছিল জরায়ু বাদ দেওয়ার অপারেশন। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় হিস্টেরেক্টমি। সন্তান প্রসব বা অস্ত্রোপচারের পর তাঁরা প্রত্যেকেই 'সুস্থ' হয়ে নার্সিংহোম থেকে ছুটি পান। কিন্তু অভিযোগ, ১৫-১৬ দিন পর থেকেই তাঁদের অস্ত্রোপচারের জায়গা থেকে বেরতে শুরু করে পুঁজ ও রস। এমনকী অনেকের শরীরে অস্ত্রোপচারের জায়গাটি শক্ত গিয়েছে বলেও অভিযোগ। কারও কারও পেট ব্যথাও শুরু হয়।
কী কী সমস্যা?
পুঁজ-রস বের হওয়া
অস্ত্রোপচারের স্থান শক্ত হয়ে যাওয়া
পেট ব্যথা
২০২২ সালের ঘটনা
ঘটনায় আরও জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৯ অক্টোবর থেকে নভেম্বরস মাসের শেষ পর্যন্ত ওই ২১ জন রোগীর অপারেশন হয়েছিল নার্সিংহোমটিতে। অভিযোগ, বাড়ি ফিরে গেলেও অস্ত্রোপচারের পর থেকে থেকে কেউই এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হননি। রহস্যজনক এই ঘটনার নেপথ্যে ঠিক কোন কারণ, তা উদঘাটনে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ইতিমধ্যেই তদন্ত করেছেন। এমনকী মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাও হয়েছে কয়েকজনের। কয়েকজন তো পুরোপুরি সুস্থ হতে দক্ষিণ ভারতে পর্যন্ত চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি ওই ২১ জন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
কি জানিয়েছে কমিশন?
এই বিষয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার এক প্রেস বিবৃতিতে জানান, ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে রয়েছেন মাইক্রোবায়োলজিস্ট, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং কমিশনের দুই সদস্য। কমিটির সদস্যরা বহরমপুর গিয়ে তদন্ত করবেন বলেও জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন। এদিকে এই বিষয়ে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, কেউ মুখ খুলতে চাননি। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার স্বাস্থ্যমহলে। একইসঙ্গে অসুস্থ মহিলারা চাইছেন, দ্রুত বিহিত হোক এই ঘটনার।