দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসের সাম্রাজ্যে পরিণত হল মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ঝড়ে। একের পর এক ঘরের চাল, দোকানের টিন উড়ে গিয়ে ভেঙে পড়ল গাছ। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিও হল ভেঙে পড়া গাছ চাপা পড়ে। ঝড়ে মৃত্যুর সংখ্যা একাধিক, আহত বেশ কয়েকজন। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে রওনা দিলেন ঝড়ের রাতে। সেখানে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে মৃত ব্যাক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি বেশকিছুটা অঞ্চল রবিবারে ঝড়ের তান্দবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এক হোটেল কর্মী জানাচ্ছেন, ঝড়ে হোটেলের সমস্ত টিন উড়ে গিয়েছে। পড়ে গিয়েছে সমস্ত খাবারদাবার। ভেঙে গিয়েছে দোকান। এককথায় লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেই জানান তিনি। অন্যদিকে আবার, ঝড়ে গাছ পড়ে একেবারে দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে একটি টোটও। ঝড়ের সেই দানবীয় রূপের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেটেও। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শিলিগুড়ির পুরনিগের মেয়র গৌতম দেব। ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন আহতদের সঙ্গেও। ঘটনায় প্রশাসন যতটা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে, তার ভূয়সী প্রশংসাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। পাশাপাশি কথা হয়েছে আহতদের সঙ্গেও। প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলেই মন্তব্য করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই এলাকায় প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ বাড়ি একেবারে উড়ে গিয়েছে। আহতদের কারও হাত কেটেছে, কারও পা কেটেছে, কারও মাথা ফেটে গিয়েছে, কারও বুকে চাপ পড়েছে। তিনি আরও জানান, আহতদের মধ্যে ১ জন ছাড়া বাকিরা মোটামুটি স্থিতিশীল। আর ৩ জনকে অন্যত্র পাঠান হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অপারেশন হয়েও গিয়েছে। বাকি যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, সবই প্রশাসন করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।