আগরতলা : প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সুবাদেই ভারত আজ বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিগণিত হতে পেরেছে। আগরতলায় বিজেপি প্রদেশ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। তিনি জানান,গত ১০ বছরে উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৮টি রাজ্যের বিকাশের অন্যতম উদাহরণ ত্রিপুরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিমত, দেশের সব অংশের উন্নয়নের কথা বাজেটে তুলে ধরা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় জাহাজ এবং জলপথ মন্ত্রকের মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল ত্রিপুরা সফরে আসেন। বিজেপি প্রদেশ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশের সব অংশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই বাজেটে দেশের সব অংশের জনগণের জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই ধরনের বাজেট পেয়ে দেশবাসী দেশকে আত্মনির্ভর বানাতে নিজেদের যোগদান করতে প্রস্তুত বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, দেশের লাদাখ থেকে পদুচেরি, অরুণাচল থেকে গুজরাট এমন কোন প্রান্ত নেই যে বিকাশের পথে যুক্ত হওয়া থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সুবাদেই বিশ্বে এক নতুন পরিচয় পেয়েছে হিন্দুস্তান। বর্তমানে গোটা বিশ্ব এই দেশকে অনুসরণ করছে। এর আগে কখনোই ভারতকে নিয়ে বিশ্বে এতটা চর্চা হত না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বেই বিশ্বে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে ভারত।
কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের মন্ত্রী আরো বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৮টি রাজ্যের বিকাশের ক্ষেত্রে অন্যতম উদাহরণ হল ত্রিপুরা ।এই রাজ্যে এখন প্রতিদিন বাইশটির মত বিমান যাতায়াত করছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে গুয়াহাটির পর ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে পরিগণিত হয়েছে এমবিবি বিমানবন্দর। তিনি আরো জানান, স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরিত হচ্ছে ত্রিপুরা। এই রাজ্যে ২০১৪ সালের পর রেলপথ মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে রুপান্তরিত হয়েছে। এখন প্রচুর সংখ্যক ট্রেন বহিঃরাজ্য থেকে রাজ্যে আসা যাওয়া করছে। তিনি বলেন দেশের এই বিকাশ, এই পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সবই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের জন্য সম্ভব হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরো বলেন, জিএসটি প্রথা দেশের কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এনেছে। গত দশ বছর প্রতিটি প্রদেশে সড়ক থেকে শুরু করে রেল যোগাযোগ, বিমান যোগাযোগ সহ সব রকমের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। জনগণের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে।