Tripura

4 months ago

Dharmanagar-Agartala Passenger Special:বিচক্ষণ লোকো পাইলট, সুরক্ষিত কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং ধর্মনগর-আগরতলা প্যাসেঞ্জার স্পেশালের যাত্রীকুল

Dharmanagar-Agartala Passenger Special
Dharmanagar-Agartala Passenger Special

 

গুয়াহাটি, ২২ আগস্ট  : ত্রিপুরায় প্রতিকূল আবহাওয়া এবং অবিরাম বৃষ্টির মধ্যে রেলওয়ে লোকো পাইলট, লোকো ইন্সপেক্টর, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এবং স্টেশন কর্মীদের সতর্কতার মাধ্যমে রেল যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বুধবার লোকো পাইলট আরএন কুমার এবং সহকারী লোকো পাইলট সুরজিৎ দেবনাথ ০৫৬৭৬ নম্বর আপ ধর্মনগর-আগরতলা প্যাসেঞ্জার স্পেশালে কর্মরত অবস্থায় একটি সম্ভাব্য দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করেন। ট্রেনটি প্রায় এক হাজার যাত্রী নিয়ে বারোমুড়া পাহাড়ি এলাকা দিয়ে ধীরে ধীরে যাচ্ছিল।

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা আজ এক প্রেস বার্তায় জানান, তেলিয়ামুড়া স্টেশন পার হওয়ার পর লোকো পাইলট এবং সহকারী লোকো পাইলট সকাল ১০:১০টায় আগরতলা থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দূরে কিমি ১৪৯/০২-এ হঠাৎ রেলপথে বাধা লক্ষ্য করেন। তাঁরা সময় নষ্ট না করে জরুরি ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন। তাঁরা দেখেন, পাশের পাহাড়ি ঢাল থেকে বিশাল ভূমিধস হচ্ছে, যেখানে রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর কাদা ও গাছ রয়েছে। সে সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বরিষ্ঠ আধিকারিকের কাছে ফোনে পরিস্থিতির বিষয়ে অবগত করেন।

যথাসময়ে জরুরি ব্রেক প্রয়োগ করে যাত্রী বোঝাই ট্রেনটিকে ভূমিধসের ধ্বংসাবশেষের প্রায় ১০০ মিটার আগে থামাতে সক্ষম হন লোকো পাইলটরা। একই রকমের আরেকটি ঘটনায় আজ তেলিয়ামুড়া এবং জিরানিয়া স্টেশনের মধ্যে কিমি ১৪৬/১-২-এ রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর গাছ পড়ে রেলপথ অবরোধের খবর পাওয়ার পর ট্রেন নম্বর ১৩১৭৪ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে কিমি ১৪৬/৮-এ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

বন্যার জন্য ত্রিপুরার একাধিক বন্যাক্রান্ত অঞ্চলের জনগণ নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যাক্রান্ত মানুষের জন্য উদয়পুর এবং অন্যান্য স্টেশন নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে।

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে স্টেশনগুলিতে বন্যাক্রান্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমস্ত ওয়েটিং রুম, শৌচালয় এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সহ বন্যাক্রান্ত মানুষজনের জন্য দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থা ঘুরে না-আসা পর্যন্ত স্টেশনে আশ্রিত বন্যাক্রান্তদের পাশে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সক্রিয়ভাবে রয়েছে।

ট্র্যাকের নিকটবর্তী অঞ্চলগুলিত ভূমিধসের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রতিহত করতে সীমিত গতির সাথে ট্রেনগুলি পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করা হচ্ছে। লোকো পাইলট, গার্ড, ট্র্যাকম্যানদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং ট্র্যাকের পাশে যে কোনও ধরনের বাধা-বিপত্তির জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত ব্যক্তিতে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

You might also like!