১)'ম্যাগনেটিক হিল'- লাদাখ
দুরন্ত বার্তা ডিজিতাল ডেস্কঃ বিশ্বের একাধিক এমন জায়গা আছে যেখানে বিশেষ চৌম্বকীয় স্তরের জন্য সাধারণভাবে নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ সূত্র ঠিক মত কাজ করে না। এমন একটি জায়গা আছে ভারতের লাদখের লে জেলার ম্যাগনেটিক হিল।
ম্যাগনেটিক হিল নামে পরিচিত ভারতের এমন একটি জায়গা যেখানে প্রকৃতি নিজের নিয়মে বিপরীতে চলে। চুম্বকীয় পাহাড় যেখানে চুম্বকের ক্ষমতা ভারতের অন্যান্য স্থানের তুলনায় বেশি বলে মনে করা হয় । ভারতের লাদাখের লে জেলার ম্যাগনেটিক হিল নামক একটি জায়গা আছে যেখানে কোনো বস্তু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বিপরীতে কাজ করে। এখানকার রাস্তা যদি একটি চার চাকার গাড়িকে নিউট্রাল করে রাখা হয়, তবে দেখা যাবে গাড়িটি যেদিকে নিচু সেদিকে না গিয়ে যে দিকে উঁচু অর্থাৎ পাহাড়ের দিকে যেতে শুরু করবে । এটি এখন লাদাখের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। পর্যটকরা এখানে আসে তাদের নিজস্ব গাড়ি কিভাবে পরীক্ষা করে দেখবার জন্য এটি সত্যিই একটি অসাধারণ অফবিট জায়গা।
এমন ঘটনাকেই বলা হয় অফবিট নিউজ। হয়তো সকলের জানা নেই প্রকৃতির এই উল্টো কর্মতৎপরতার কারণ। মাটির নিচে কোথাও কোথাও এমন চৌম্বকীয় স্তর থাকে যেখানে স্বাভাবিক মাধ্যাকর্ষণ কাজ করে না। এটা ব্যতিক্রম তাই এগুলো অফবিট খবর।
২) দ্য গোল্ডেন বোল্ডার- ঠিক এমন ঘটনা আছে মায়ানমারে। মাধ্যাকর্ষণ যেখানে কাজ করে না।
এই সমস্ত রহস্য নিয়ে মানুষ প্রথম দিকে এগুলোকে ঈশ্বরের লীলা বলেই ভাবা হতো। কিন্তু পরে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ গবেষণায় এর কারণ উদ্ধার করেছেন। আসলে এর পিছনে আছে মাটির তলার চৌম্বকীয় স্তরের খেলা। এমনই একটি আশ্চর্য পাথর টুকরো আছে মায়ানমারের বার্মাতে। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'দ্য গোল্ডেন বোল্ডার'।
মায়ানমারে বার্মাতে অবস্থিত সোনার মতো উজ্জ্বল এই পাথর বছরের-পর-বছর এমনভাবেই আছে। বৌদ্ধ ধর্মে মানুষরা এই জায়গাকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করেন। এই পাথরের না পড়ে যাওয়ার রহস্য হাজার বছর পুরনো। যা দেখা যায়, মোটামুটি ২৫০০ বছর আগের থেকে এইরকম ভাবে এই পাথরটি এই স্থানে আটকে আছে। বৌদ্ধরা মনে করে গৌতম বুদ্ধের মাথার একটিমাত্র কেশ এই পাথরের ভিতর অবস্থিত বলে এই পাথর বছরের পর বছর এমনভাবে আছে। যারা পুজো করতে আসে তারা নাকি সোনার প্রলেপ লাগায়। যার কারণে এই গোটা পাথর গোল্ডেন কালার ধারণ করেছে।তখন এই পাথরের রহস্য উদঘাটন করা যায় নি। এই পাথরের এইভাবে ঝুলে থাকা রহস্য ভেদ করতে পারেনি। তবে ওরা বলে কোন নারী এটি ছুলে এই পাথর নিচে পড়ে যাবে তাই মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই ভাবনা নিতান্তই কুসংস্কার। এক্ষেত্রেও সেই চুম্বকীয় স্তরের আকর্ষণেই পাথরটি অনন্তকাল ধরে ওভাবে অবস্থান করছে। আধুনিক বিশ্বে এটি ভূতত্ত্ববিদদের গবেষণার একটি অন্যতম বিষয়। বহু কৌতূহলী মানুষ এই অফবিট স্থানে গিয়ে এই পাথর দর্শন করেন।