দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সুন্দরবন মানেই উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সুন্দরবনের ট্র্যাডিশনাল ভ্রমণ মানেই স্পিটবোটে করে ঘোরা আর নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় রাত্রিবাস করা। এতে হয়তো বেড়ানো হয় কিন্তু সুন্দরবনের আত্মাকে খুঁজে পাবেন না। তাই সুন্দরবনের একটি অফবিট ভ্রমণ স্থল হলো 'বনিক্যাম্প' । সুন্দরবন ও তার প্রকৃতির অপূর্ব এক মেল বন্ধন হচ্ছে – বনিক্যাম্প ও কলস দ্বীপ ভ্রমণ !
নিস্তব্দ নিরালায় জল ও জঙ্গল ভ্রমণ ! প্রকৃত অফবিট, চারিদিকে জল ও বাদাবন!মাঝে মাঝে দুএকটা মাছ ধরা ট্রলার চোখে পড়ে, সামুদ্রিক জাহাজ দূরে দিগন্তে আস্তে আস্তে হারিয়ে যায় ! কলস সি বিচ দেখে কাছে যেন মনে হয় প্রকৃত ওয়াইল্ড সি বিচ! গা ছম ছম করে ! যেন প্রকৃতির মায়াবী হাতছানি !
এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো, প্রকৃতি,জীবজগত ও আপনাদের নিয়ে মানব জগতের এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন প্রকৃতির সাথে প্রকৃতির কাছে জীবনের দুটো দিন যা মনে রাখার এক ভ্রমণ হতে পারে !পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে রয়েছে প্রকৃতির অপার সম্ভার সুন্দর বন। সমুদ্রের তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে এই অপূর্ব বাদাবন। এখানে রয়েছে যেমন প্রচুর গাছপালা, কেওড়া ও সুন্দরী গাছের বন, তেমনি রয়েছে নানা প্রাণী, জীবজন্তু। বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ ও বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য ।
নেতা ধোপানির ঘাট থেকে শুরু হয় প্রকৃত সুন্দর বন। বনিক্যাম্পে নদীর উপরে বোটে রাত্রিবাস, এখানে কোন হোটেল নেই, খুবই সুন্দর ওয়াচ টাওয়ার ! বিকালে এখানে বসে থাকলে জীবনের অনেক নিভে যাওয়া স্মৃতি আবার ফিরে আসে ! সন্ধ্যা বেলায় এখানে মা বনদেবীর মন্দিরে পূজা হয় ! যত রাত গভীর হয় ততই জঙ্গলের ভিতরে অজানা শব্দ হয়, অজানা পাখিরা ডেকে ওঠে ! বোটের ডেকে বসে অন্ধকার রাত্রিতে এই সব শোনা সে এক রোমঞ্চ বটে ! তাই একবার অন্তত ঘুরে আসুন সুন্দরবনের প্রকৃত বনের স্বাদ নিতে।